শ্রমিক! তুমি যুগে যুগে সভ্যতার কারিগর;
  তুমি আছ, তাইতো হয়েছে বিকাশ, সভ্যতার।
      হরপ্পা আর মহেঞ্জোদারোর সভ্যতা;
       শ্রমিক ছাড়া হতো কি নির্মাণ, তা'?
ব্যাবিলান, রোম, পারস্য সহ হাজারও সভ্যতা;
                 করেনি তা বিধাতা।
শ্রমিকের রক্ত ঘামে, তিল তিল করে, উঠেছে গড়ে,
            প্রতিটা পিলার, এ ধরণী পরে।


     বুর্জ খলিফা, আকাশচুম্বী স্থাপত্যের নাম;
  বিশ্বের সর্বোচ্চ বিল্ডিং, বাড়ালো দুবাইয়ের সুনাম।
         কোন একটা ইট, কাঠ বা পাথর;
     শ্রমিকের ছোঁয়া বিনে, পাবে কি খুঁজে তার?
  এ জগতের যতকিছু নির্মাণ, যা হয়েছে আর হবে;
        কিছুই হবেনা শ্রমিক বিহনে, এ ভবে।
       হাতুড়ি শাবল দিয়ে, শ্রমিক ভাঙ্গে পাথর,
তারপর তোলে হীরা, এ হীরায় নেই তার অধিকার।


     মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, তারাই চাষ করে;
    তারপরও তাদের জোটে না খাবার, পেটপুরে।
                তারা বানায় ইমারত,
             ধনীরা করে সেথায় বসত।
     তাদের বসত ঘরে, ফুটো দিয়ে জল পড়ে;
            ঘুমাবে সেথায়, কেমন করে।
      দিনে রোদে পুড়ে, কঠোর শ্রম করে দান;
রাতে জলে ভিজে হাহাকার, হায় নিয়তির বিধান।


    শ্রমিকের ঘামে নির্মিত হয়, হাসপাতাল ভবন;
অতচ সে শ্রমিকদের সন্তান মরে, চিকিৎসা বিহীন।
                হায়রে নিয়তির পরিহাস;
                   নিজ গৃহে পরবাস।
     শিক্ষা ভবন, এটাওতো শ্রমিকের রক্তে গড়া,
       তবু তাদের সন্তানের, সেথায় হয়না পড়া।
যুগে যুগে এভাবে চলছে, দূর্বলের উপর অত্যাচার।
  বিচারের বাণী নির্ভৃতে কেঁদেছে, হয়নি প্রতিকার।


      শ্রমিকের ভাগ্যের টেকসই উন্নয়নের তরে;
    বহু শান্তনার বাণী, আসছি শুনে, বহুযুগ ধরে।
         বাম-ডান, উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম;
           কত তত্ত্ব, কত সান্ত্বনা, কত নাম।
       দেখেছি অনেক বাদ; দেখেছি বহু নেতা,
নেতাদের কেউ কেউ হয়েছেন মন্ত্রী, রাখেনি কথা।
    অনাদি কাল থেকে, আসছে চলে, এ বিধান;
   জানিনা কবে হবে, আদৌ হবে কিনা, এর খণ্ডন!
            তারিখঃ ১৬-১১-২০২২ ইং;