জ্ঞানবানদের একটি ফতোয়া বা মত প্রকাশ  
যা ইসলামী জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ফতোয়া প্রদান করেন সম্মানিত মুফতীগণ
আর তারা হলেন বার্তাবাহকদের প্রতিনিধি।
ফতোয়ার লক্ষ্য হয় সন্দেহ সংশয় নিরসন
লক্ষ্য মুসলিমের ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধন।
উম্মাহর জন্য ফতোয়া একটি রহমত
ফতোয়ার পিছনে থাকে চিন্তাশীলতার ছাপ।
ফতোয়া অন্যের মতকে সম্মান জানায়
এবং মুসলিম ভ্রাতৃত্ব শিষ্টাচার সংরক্ষণ করে।  
পক্ষান্তরে ফতোয়াবাজি !
প্রতিপক্ষের প্রতি যেন একটি তীর নিক্ষেপ
নিজ মতের মিল না পেলে ময়দান গরম !
ফতোয়াবাজি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
পিছনে থাকে জাগতিক স্বার্থ কিংবা বিদ্বেষ।
ফতোয়াবাজির স্বর থাকে উচ্চ
যা কর্ণের জন্য কষ্টদায়ক হয়।
ফতোয়াবাজি প্রতিপক্ষের মতকে উপেক্ষা করে
নিজ মতকেই শুধু প্রধান্য দেয়।
এবং তা মানবের ঘারে চাপানোর চেষ্টা করে।
ফতোয়াবাজি মানেই প্রতিপক্ষ কাফের ফাসিক
আর জাহান্নামে পাঠায় যদিও এর মালিক নয়।
ফতোয়াবাজি আদম সন্তানের রক্ত ঝরায়
আর বেদনা অভিমানের অশ্রু দুই নয়নে।  
এই রক্ত অশ্রু সৃষ্টি করে ভয়ংকর অগ্নী
এগুলো আঘাত করে যে কোন এক পক্ষকে।  
ভয়ংকর এই অগ্নী শিতল হয়
অনুশোচনা ক্ষমা সঠিক চিন্তার পূর্ণগঠনে।
অন্যথায় এই অদৃশ্য অগ্নী উত্তপ্তই থাকে।
ক্ষতিকর এই ফতোয়াবাজির হউক অবসান
সুচিন্তিত ফতোয়া জীবন জিজ্ঞাসার সমাধান।