স্বাধীনতা ক্ষত সমাপ্তির জন্যে


মোঃ মামুন মোল্যা


স্বর্ণালী জ্যোৎস্নায় স্নিগ্ধ পবনে কামিনী পুষ্প সুগন্ধে


শিক্ষাঙ্গন থেকে ভেসে আসে কান্নার চিৎকার;


সিঁড়ি থেকে বেয়ে আসে এক সাগর রক্তের বন্যা


ঘর থেকে ভেসে আসে লক্ষ- লক্ষ  তরুণীর আর্তনাদ!


বেশ্যার দেহ ক্ষত-বিক্ষত যন্ত্রণায় প্রাণ যায় যায়


গর্ভবতী জননীর অঙ্গে রক্ত ঝরছে আর ঝরছে ;


বাবা,ভাই ,স্বামী বন্ধু দের বেঁধে অগ্নি দহনে


কিংবা বুলেটের আঘাতে ভবিষ্যৎ নক্ত করতে উন্মত্ত।


পূর্ব বঙ্গে কালো পয়োধরের ঘনঘটা,


চিল,শকুন,ঈগল,হিংস্রতার শঙ্কা রোপণ করে বাঙালির অন্তরে।


তুলে নিল সেই অগ্নি ঝরা ভাষণের সংগ্রামী ছেলেটা:


ভাঙ্গনে দাঁড়িয়ে বীর সৈনিক তুলে ধরে এক লিখিত ভাষণ।


গহীন আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে এলাম ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণ-তরুণী


খুলে দিলাম মর্ম কপাট স্বদেশ প্রীতির বন্ধনে;


হাতে তুলে নিলাম সেই ভয়ংকর মৃত্যু


মশাল হাতে বেরিয়ে পড়লাম রাজ পথে


গাঁয়ের চাষা-ভূষা,লোহার শ্রমিক,রিক্সা চালক


যাযাবর, নর্তকী পথ-শিশু ছুটে আসে তো আসে;


মিশে যায় জ্বলন্ত অগ্নি-ঝরা জনতার মিছিলে


হঠাৎ রক্তাক্ত রাজপথ দেখে থমকে দাঁড়ায়;


ক্লাসের প্রথম হওয়া ছেলেরা যাবে না বিস্ফোরণ সংগ্রামে।


অপর সবাই এগিয়ে গেল অস্ত্র হাতে  দলে দলে সংগ্রামী মিছিলে,


প্রতিশোধের অগ্নি ছড়িয়ে দিল পাকবাহিনীর দেহে


ঝরতে ঝরতে বসন্তের হাওয়ায় ভেসে এলো মহান স্বাধীনতা।        


লেখা ১-১-২৩ রাত ১১ঃ৬ মিনিট