ছাত্রীটি বুঝে হাওয়া


মোঃ মামুন মোল্যা


কি বুঝতে পেরেছে ছাত্রীটি?
সে কি বুঝতে পেরেছে? ধ্রুব নিশীথে যে লোকটির আগমন ঘটে!


সে লোকটি জননীর প্রণয়ী কিংবা স্বামী!


পাড়াতো মামা বোনের সাথে সন্তান বাদে থাকা কি ঠিক?
এই প্রশ্ন কি জেগেছে মনে?


বাবার চাকরির সুবাদে প্রসবিনী-মামা কালো কাব্যের জন্মদাতা!


জন্মদাতার ধন মাসের পর মাস,বছরের পর বছর, প্রসূতি-প্রেমিক আত্মসাৎ করছে?


গভীর তমঃ রজনী তে অর্থহীনে অমাবস্যা চলছে!


মেয়েটি কি লেখা-পড়া ছেড়ে সব শ্রবণ করছে?


বিদীর্ণ সৃজনকারিণী-জন্মদাতার প্রসূন। মানুষ করার জন্য কি এত কিছু?
জন্মদাতার এত বিসর্জন!
তা লুটপাট করছে জন্মদাত্রী আর তার নাগর।


অম্বালিকা নিকট থেকে কী পেয়েছে?


পেয়েছে চতুষ্পাশ্র্ব লোকদের নিকট থেকে গু মোট-গু মোট বচন!


স্কুলের বন্ধু বান্ধবীদের তাচ্ছিল্য! যেখানে যায় অপকৃষ্ট বস্তু সে মাত্র ।


লোকে ক্ষত স্থানে গুলের ছিটা, নুনের ছিটা মারছে যেটা হৃদয় বেদনাদায়ক।


তার জন্ম দিনে কোন পার্টি হয় না কেন?


বন্ধু বান্ধবীদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করলে কেন আসতে চাই না?


বুঝবে যদি তবে এত সব সয়েছে ছাত্রীটি কেন?


বোধ হয় ছোট্ট ছিল! না হয় লেখা পড়া জন্য!
না হয় অম্বালিকা দীপ্তি পায় নাকি?


সত্যি!“সে বড্ড ভাল মেয়ে; আমি তাকে উপলব্ধি করেছি!
কিন্তু কি করবার ছিল?
সত্যি কি সে সব বুঝতে পেরেছে?


হ্যাঁ বুঝতে পেরেছে পরীক্ষার পর পরীক্ষা, ঘর আঁধারে ভরেছে! লেখা-পড়া হাবুডুবু!


আমি তাকে স্নেহ  করি,ভালবাসি তার শত গুন কে !
সে গুন ক্রমে ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে ,তবে কেন?


সুমন্যা তুমি কি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে?


হ্যাঁ স্যার! না স্যার! আমি কষ্ট পাবো তাই “না” বলতনা!


আমি ভালবাসি! সবাই তোমাকে স্নেহ  করবে!
অনেক বড় মানুষ হবে তুমি!


নিত্য বদনটা নিষ্প্রভ দর্শনে! তুমি সুখী হবে অনেক সুখী!


মেঘ খসিয়ে যেন এক ঝলকা অরুণের মত কিছু সময়ের জন্য হাসতো!


হঠাৎ এক দিন ছাত্রীটি মম কাছ থেকে হারিয়ে গেলো! কোথায় গেলো?


শেষ চিঠি হাতে! ছেড়ে এসেছি ঠিক! প্রণয় রেখে এসেছি চিত্ত ক্ষোভের ভিড়ে!


প্রগাঢ় মনস্তাপ নিয়ে এসেছি স্যার! বড় হতে! অনেক বড়!


এত বড় হব যে দেশে বড় অমমোক্তারের মধ্যে এক জন।


দেশের বড় ব্যাধি পতি-স্ত্রী,সন্তান রেখে বিবাহ,
পতি সন্তান থাকতে স্ত্রী ব্যভিচারিণী বিবাহ বন্ধন অনন্ত কালের জন্য করিব বন্ধ।


আপনার স্বপ্ন, আমার অভিলাষ পূরণে চলে এসেছি! তাই  আর ব্যভিচারিণী সঙ্গ ছেড়েছি!