চেতনার ডাক ৷


ওহে শতাব্দীর জানুয়ারি ?
ওহে শতাব্দীর ফেব্রুয়ারি?
ওহে শতাব্দীর বারো মাস?


কেন রে তুমি পেরিয়ে গিয়ে?
কেন রে তুমি আসিলে নিয়ে?
সেই রক্তের স্রোত ভাসানো-
রক্তাক্ত স্বাধীনতার মাস?


মনে যে দিল মোর করিয়ে -
কত শত দুঃখ বেদনার -
রক্তে রক্তিম কালো নিঃশ্বাস।


কি নির্মোম প্রান্ত পথ ছিল,
সে সময়ের সকল বেলা,
কত শত জীবন হারালো,
খেয়ে  গ্রেনেড বোমার গোলা।


অতঃপর ত্রিশ লক্ষ সেনা-
শহীদের রক্তের বিনিময়ে,
দুই লক্ষ নারীদের প্রাণ -
সতিত্য হননের বিনিময়ে ৷


বিজয় হল মোদের এই,
বাঙলাদেশের স্বাধীনতা  
তাইতো শহীদের স্মরণে -
শোকের এ আয়োজন মেলা।


মোদেরে এ দিন নাহি হবে-
হাসি খুসি  আনন্দ উল্লাস,
মোদেরে এ দিন হবে শুধু
শোক বেদনার ইতিহাস।


শুধু শোক বেদনায় নয়
করিতে হবে দৃঢ় ওয়াদা,
আর যেন এমন না আসে
মেঘের আধার কৃষ্ণ সন্ধ্যা।


এমন কাল আসার আগে
থাকতে হবে এবারে চেতনা,
তার কারনে গড়তে হবে
আজকে সেই  পরিকল্পনা ৷


আজকে এ দিনে নাহি হবে
বধুর বেশে কারো গড়ন,
দেখতেছি আমি কিছু কিছু
তরুন তরুনী ঘুরিতেছে
নব বধূর বেশে ধরণ।


ওরা কি ছিল স্বাধীন বিরোধী
তবে কেন তারা বধূ বেশে?
এ কি দেখিলাম চিত্র আমি
স্বাধীনতার এই দিবসে?


হতাশায় ফেটে যায় মোর
বক্কের অন্তঃমূলের  কোনা,
শত রক্ত ঝরা শহীদের
কেন এমন অবমাননা?


আরো কতক কুরীতি কার্য
চলিতেছে এই দিন রাতে,
শোকের নামে ওরা সবাই
উদ্যানে হোস্টেলে আবাসিকে ৷


মেতে যায় ওদের অন্তরে
বিনোদনের সকল খেলা,
স্বাধীনতার দিন দিলো কি?
তাদের মনে সুখের দোলা?


কবে ফিরিবে ওদের জ্ঞান
এই বাংলাদেশের  ভূমিতে,
কবে যে ওরা স্বাধীনতার
সুশিক্ষা পাবে এই জগতে।