আমিও চেয়েছিলাম তোমার হাতটি ধরে
পথ চলতে জীবনের বহু ক্রােশ দূরে,
পৌঁছে যেতে দিগন্তের ওপারে
হারিয়ে যেতে চিরতরে।
আমারও মন হয়েছিল ব্যাকুল
যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম
কৃষ্ণচূড়ার নিচে,
আনমনে ছিলে তুমি বসে।
গভীর ভাবনায় নিমগ্ন ছিল তোমার মন
বন্ধুদের পাশ কাটিয়ে বিদায় নিলে যখন।
হাঁটছিলে তুমি কলেজের ক্যাম্পাসে দিঘির পাড়ে
হারিয়েছিল আমার মন তোমায় দেখে বারে বারে।
দখিনা বাতাসে এলোমেলো উড়ছিল তোমার কেশ
বাহ্! কী দারুণ! তোমাকে লাগছিল বেশ।
হৃদয়ে বইছিল আনন্দের বন্যা,
মনোমোহিনী, শতরূপা ছিলে তুমি এক অনন্যা।
আমিও চেয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে-
হারিয়ে যাব কাশফুলের বনে।
শহরের কর্ম-কোলাহল থেকে
ওই যে দূরে গ্রামে,
নদীর পাড়ে বসে আনমনে।
রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজব দুজনে
চোখে চোখ রেখে হারাব নির্জনে।
অনুভবে, অনুরণনে হারিয়ে যাবে মন
স্বর্গীয় কোনো পরশে কাটবে সময় সারাক্ষণ।
হাজারো স্বপ্ন ছিল আমার তোমাকে ঘিরে
ব্যস্ত সময় শেষে ফিরব শান্তির নীড়ে।
অপেক্ষার প্রহর গুনে তুমি করবে সময় পার
ভাবনার রেশ কাটতেই কত ঘটবে দারুণ ব্যাপার!
আহ্লাদে আটখানা হয়ে তুমি করবে বায়না যত
রাখব তোমার কথা, হব নাকো কোনোদিন উদ্ধত।
আমিও চেয়েছিলাম রংধনুর-
সাতরঙে সিক্ত করে ভরাব তোমার মন।
ফুটবে নতুন ফুলের কুঁড়ি,
কেটে যাবে জরা, উঠবে ভরে ভ্রমরমুখর কানন।
গুঁজব খোঁপায় তোমার রাঙা জবাফুল,
ফুটন্ত গোলাপের সুবাসে মাতবে হৃদয় বিলকুল।
বিকালে চায়ের কাপে পাব রজনীগন্ধার ঘ্রাণ,
দুজন হব ক্লান্ত, শান্ত, মিলেমিশে হব এক দেহ মন প্রাণ।