আমি জীবনে বহুবার আকাশ দেখেছি
কিন্তু আকাশের নীল রঙের পরশ কোনোদিন আমার হৃদয়কে ছোঁয়নি একটুও।
যেদিন যখন বাড়ির ছাদে হাতে হাত রেখে তুমি আকাশকে দেখালে
আমি মুহূর্তেই হারিয়ে গেলাম, যেন নীলাকাশ
তার ভালোবাসার সবটুকু ছোঁয়া দিয়ে
আমার হৃদয়কে স্পর্শ করল।
নদীর পাড়ে বসে সূর্যাস্ত অনেকবার দেখেছি,
কিন্তু সূর্যাস্তের রক্তিম আভা আমার হৃদয়কে ছোঁয়নি কোনোদিনও।
যেবার তোমাকে নিয়ে নদীর পাড়ে বসে প্রথম সূর্যাস্ত দেখলাম
মনে হলো এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য কোনোদিন দেখিনি আমি।
সূর্যাস্তের রক্তিম আলো আমার হৃদয়কে রাঙিয়ে দিল চিরতরে।
পাহাড়ে আমি বেড়াতে গিয়েছি কতবার
তা নিজেও জানি না।
কিন্তু পাহাড় ও মেঘের লুকোচুরির দৃশ্য কোনোদিন চোখে পড়েনি।
যেবার তুমি আমাকে নিয়ে পাহাড়ে গেলে,
মনে হলো প্রকৃতি আপন রঙে সেজে পাহাড়রূপী প্রেমিকের সাথে
লুকোচুরির খেলায় মেতেছে মেঘরূপী প্রেমিকা।
আমি তন্ময় হয়ে উপভোগ করতে থাকলাম এমন মনোমোহিনী দৃশ্য!
সোনালি ধানের ক্ষেতে যে কতবার হেঁটেছি,
তা গুনে শেষ করতে পারব না।
কিন্তু সোনালি রূপের অপূর্ব ছটা আমাকে মোহিত করেনি কখনও।
তোমাকে নিয়ে যখন ক্ষেতের আল বেয়ে হাঁটতে লাগলাম,
সোনালি ধানের সোনালি পরশ আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে গেল গভীরে।
কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে
একটি লাল কৃষ্ণচূড়া ছিল।
কৃষ্ণচূড়ার লাল, কমলা ও হলুদ ফুলের বাহারি রূপ
আমার চেখে কোনোদিন ধরা দেয়নি।
কিন্তু তুমি আমায় নিয়ে যেদিন
কৃষ্ণচূড়ার নিচে এসে দাঁড়ালে
ঋতুরাজ বসন্ত এসে বিরাজ করল আমার হৃদয়ে।
কারো চোখের দিকে এমনভাবে কোনোদিন তাকাইনি।
কিন্তু কলেজের ক্যাম্পাসে বসে যেদিন
তোমার চোখের দিকে এক পলক তাকালাম,
কী অতলস্পর্শী রূপ তার!
যেন কোনো গভীর হ্রদে আমি হারিয়ে যাচ্ছি একটু একটু করে।
অনুভবে অনুরণনে হারিয়েছি আমার মন,
প্রেমের সাগরে খেয়েছি আমি হাবুডুবু আজীবন।