ঐ দূর পাহাড়ের ধারে দিগন্তের খুব কাছে
আমি তোমাকে প্র ম দেখেছিলাম
দেখেছিলাম তোমাকে সুহাস্য বদনে
দেখেছিলাম তোমাকে শ্রাবণের দিনক্ষণে
প্রকৃতির অপরূপ রূপের মেলায়
আমি দেখেছিলাম তোমাকে আনমনে।
উন্মুক্ত আকশের নিচে তুমি দাঁড়িয়েছিলে
ইশারায় কাউকে যেন ডাকছিলে
ডাকছিলে মনের সবটুকু ভালোলাগা দিয়ে
যে ভালোলাগার শেষ হয় বোধহয় ভালোবাসায়
আমিও সেই ভালোবাসার স্বপেড়ব বিভোর ছিলাম
হতচকিত মনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলাম
এগিয়ে যাচ্ছিলাম তোমারই পানে
এগিয়ে যাচ্ছিলাম কোনো এক সম্মোহনী শক্তির টানে
যে টান আমি যেন কোনোদিন অনুভব করিনি
অনুভব করিনি অচেনা ভালোলাগার পরশ
দিনটা এমনই ছিল আমার মনটাও ছিল সরস
সেই সরস মনের অভিব্যক্তি নিয়ে
আবেগের ভারে নুয়ে পড়ে
আমি এগিয়ে গেলাম তোমার সামনে
দেখছিলাম তোমাকে তুমি গুনগুন করে
গাইছিলে গান ছোট্ট পাথরের ওপর বসে নিভৃতে আনমনে
হঠাৎ যেন মনে হলো
কোনো নারীর এমন হৃদয়মোহিনী রূপ
আমি জীবনে দেখিনি
দেখিনি কোনো নারীর এমন অনিন্দ্যসুন্দর কান্তি রূপ
দেখিনি কোনো নারীর এমন ভুবনমোহিনী রূপ
যার আলোকচ্ছটা আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় গভীরে
ছুঁয়ে যায় আমার সমগ্র সত্তায়
ছুঁয়ে যায় আমার অস্থিমজ্জায়
তখন আমি ডুব দিই ভাবনার গভীরে
মনে প্রশড়ব জাগে
তুমি কি স্বর্গের অপ্সরা নাকি মেনকা