আমি যৌবনের উদরপূর্তিতে শেষ করেছি বসন্তের মহিমান্বিত দিনগুলো,
তারুণ্যের উদ্দীপ্ত মুখায়বকে কাজে লাগিয়েছি বাহ্যিক সৌন্দর্যের পূজায়
মরীচিকার পিছনে ঘুরে শেষ করেছি সহস্রের কত সোনালি দিন।
মিথ্যার বেসাতি গড়ে, নির্লজ্জ বেহায়ার মতো অভিনয় করে
তিলে তিলে রুদ্ধ করেছি সুখ ও সমৃদ্ধির সোনালি দ্বার।
সবকিছু হারিয়ে যখন নিঃস্ব অসহায় পথিক আমি
হঠাৎ অবলোকন করি দিগন্তের ওপারে আশার আলোর ঝলকানি,
খুঁজে পাই চলার মসৃণ পথ।
নির্মোহ নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি, সত্যের আলোয় মুখরিত ভুবন
যে ভুবনে বাস করে নিজেকে ঐশ্বরিক মানব মনে হয়।
আত্মিক শক্তির এক প্রচ- ঢেউ সারাক্ষণ আমাকে সতেজ রাখে,
মাঝেমধ্যে আমার ভিতরে অনুভব করি স্বর্গের অদৃশ্য হাতছানি।
চোখের সামনে থেকে পরদা সরে যায়,
মুহূর্তেই প্রত্যক্ষ করি সিদ্রাতুল মুনতাহায় অবস্থিত বৃহৎ কুলবৃক্ষ,
প্রত্যক্ষ করি হাজারো মহীয়ান গরীয়ান সাধকের
আল্লাহর আরশের দিকে যাত্রা।
পারলৌকিক ঘ্রাণের মুখরিত পরিবেশে কেটে যায় বহুক্ষণ,
মনে হঠাৎ দার্শনিকোচিত প্রশেড়বর উদ্রেক হয়।
মৃত্যুর স্বাদ সকলেই গ্রহণ করে কিন্ত জীবনের সাধ গ্রহণ করে কয়জন?