সেদিন রোদ-ঝলমলে এক দিন ছিল।
সময়ের প্রহর গুনে বাসস্টপেজে
দাঁড়িয়ে ছিলাম বহুক্ষণ।
কী অধীর অপেক্ষা!
বিরক্তির ছাপ ছিল চোখেমুখে সারাক্ষণ।
হঠাৎ রাস্তার ওপারে তাকালাম,
চোখ পড়ল এক ষোড়শী কন্যার দিকে।
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলাম বহুক্ষণ,
যেন কোনো জাদুমন্ত্রের ছোঁয়ায়
আবিষ্ট ছিল আমার দেহ-মন।
কী আদিম-নিবিড় সম্পর্ক!
দুচোখের মাঝে ছিল হৃদয়ের ভাষা,
যা পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই প্রকাশযোগ্য না।
ছিল এক অদ্ভুত রহস্যময় টান
যেন সময়টা পেরিয়ে গেলে মনটা ভেঙে হবে খানখান!
ছিল তার কাজল-কালো হরিণীর চোখ,
কী গভীর অপলক দৃষ্টি!
যেন কোনো অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি আমি,
হৃদয়-আকাশে হচ্ছিল এক ফুরফুরে বৃষ্টি।
আনমনে আঁকছিলাম আমি কত-না অজস্র স্বপ্ন,
হৃদয় নেচে ওঠার আগেই এক গাড়ি নিয়ে এল দুঃস্বপ্ন!
হঠাৎ এক গাড়ির বিকট শব্দে কাটল আমার সম্মোহন,
ক্ষণিকের তরে হারিয়েছিলাম,
বোধ হলো ওটা ছিল অন্যভুবন।
গাড়িটা চলে গেলে হারিয়ে ফেলি তাঁকে,
অনেক খুঁজেছি তাঁকে রাস্তার আঁকেবাঁকে।
সেদিনের সে পরির দেখা আজও আমি পাইনি-
এসেছিল আমার জীবনে, সে ছিল এক লাস্যময়ী নারী।
এই দুচোখ আমার আজও সাক্ষী,
শতরূপা, হৃদয়মোহিনী ছিলে তুমি মীনাক্ষী।