বছর ঘুরে সময়ের সুরে
নাড়ছে কড়া আমাদের দ্বারে
কোরবানির ঈদ,
কড়া নাড়ছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর
করতে নিজেদের জীবন,
যে জীবন আল্লাহর দরবারে অনেক
অনেক দামি, অনেক সম্মানের।
আসলেই এটা অনেক সম্মানের,
যে সম্মান অর্জন করতে
সকলের অন্তরে রয়েছে
অপূর্ণতার বিশাল খাদ,
রয়েছে শুধুই নিরন্তর হাহাকার!
যেন কোনো স্বর্গীয় সুবাস
প্রাপ্তির আশায় চাতক
পাখির ন্যায় বহুদিন নয়,
নয় বহুবছর, এ যেন
চিরকাল বুক বেঁধে থাকা।
এ প্রাপ্তি কেবল পশু কুরবানি
করলেই হয় না,
হয় না বাহ্যিক জাঁকজমকের
বাহারি ঢঙে অনুষ্ঠান-আচারাদি
পালন করলে,
এ কেবলই মেলে
শুধুই মেলে
মনের পশুত্বের হাকিকি
কুরবানি করলে,
মনের অন্ধকারে লুকায়িত
পশুত্বকে বধ করে
মনের সকল সুকুমার বৃত্তি
প্রকাশ পেলেই হয় বাতিনি কুরবানি।
যে কুরবানির হাকিকত তাকওয়া
হয়ে পৌঁছায় আল্লাহর দরবারে,
এ যেন এক অসাধারণ তৃপ্তি,
এক ভালোলাগার বিষয়
তখন হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় গভীরে।
ঐশী আলোয় উদ্ভাসিত হয়
বান্দার মন,
তখনই বান্দা বোঝে
কোরবানির প্রকৃত দর্শন।