ভোরের বেলা
আকাশের মিটিমিটি তারারা
তোমার মাথায় বুলিয়ে দিয়েছিল স্নেহের পরশ।
ভোরের মিষ্টি দখিনা বাতাস
বসন্তের আগমনি গান শুনিয়ে জয় করেছিল
তোমার মন।
আকাশের বুকে জমে থাকা চাপা কান্না
সেদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছিল
তোমার মনের আঙিনায়।
প্রথম পরিচয়েই
তুমি নীলনদের দানের ন্যায়
উর্বর করেছিলে আমার হৃদয় ও মন।
মেঘের কোলে মিষ্টি রোদ হয়ে
তুমি উঁকি দিয়েছিলে
আমার হৃদয়-আকাশে।
তোমার আলোকছটায়
গঙ্গোত্রী হিমবাহের বরফ গলে গলে পড়ে
পাহাড়ি পথে তৈরি করেছিল বিক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝা।
শিমুল-পলাশের বনের ন্যায়
আমার বুকে ঝড় তুলেছিল
ষোড়শীর ভরা যৌবন।
কৃষ্ণচূড়ার নিচে
হাতে হাত চোখে চোখ রেখে
কথা দিয়েছিল তোমার দুটি উষ্ণ অধর।
শূন্যতা, হাহাকার ও বঞ্চনার
সাগর পেরিয়ে আমি ডুব দিয়েছিলাম
তোমার কাজলকালো চোখের গভীর হ্রদে।
আকাশজুড়ে
গোলাপের পাপড়ির বৃষ্টি হচ্ছে
প্রতিটি পাপড়িতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়েছে
একই নাম ‘নূরজাহান’।
ফাগুন বুঝি না
বুঝি না কোনো ভালোবাসা দিবস এ ধরণী ’পরে
তুমি আমার ছিলে আমার আছ থাকবে জনম জনম ধরে।