রজনীগন্ধার সুমিষ্ট ঘ্রাণ
আজও আমার নাকে লেগে আছে।
মনে পড়ে যায়
বাসর রাতের কথা।
ছিলে তুমি যেন সাজানো বাগানে
একটি ফুটন্ত গোলাপ।
চোখাচোখি হতেই তোমার
সে কী চোখধাঁধানো রূপ
আমি দেখেছিলাম তা আজও ভুলতে পারিনি।
মনে হয়েছিল তুমি বুঝি
স্বর্গের অপ্সরা নাকি
জান্নাতের কোনো হুর,
যার জন্য যেন আমি
অনাদিকাল হতে সময়ের প্রহর গুনে অপেক্ষা করছি।
দিন গুনে গুনে
শেষ করেছি আমার
কষ্টের প্রতীক্ষা।
তিল তিল করে নিজেকে
প্রস্তুত করেছি।
ভেবেছি, নিশ্চয় আমি
একদিন গোলাপের সুগন্ধে মাতব
আমার প্রতিটি ক্ষণ হবে রঙিন।
হ্যাঁ, আজ সাতাশ বছর
তিনমাস, দুইদিন পূর্ণ হল।
আজ আমার প্রতীক্ষার
পালা শেষ।
আজ আমি দুচোখ ভরে দেখব ও খেলব
গোলাপের পাপড়ির সাথে।
কামনায় জর্জরিত মনের
আজ বাসনা পূরণের দিন।
কী আকাংক্ষিত বাসনা!
বহুকাল সেই উন্মাদনা
বুকে পাথরের মতো চেপে রয়েছে।
আজ সেই পাথরটাকে
উপড়ে ফেলে নিজেকে
হালকা করব।
আর একটু পরেই
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসবে।
স্বর্গীয় উন্মাদনায় মাতবে
দুটি হৃদয়।
সৃষ্টির অপার আনন্দে উদ্ভাসিত
হবে দুটি মনের খেলা।
এমনিভাবে জগৎমাঝে চলছে ঈশ্বরের অপার লীলা।