আগে কখনো এত গভীর ভাবে চিন্তাও করিনি ভালোবাসার মানে, হয়তো দরকার হয়নি কিংবা প্রয়োজন পড়েনি তাই, নয়তোবা অন্য কিছু হবে হয়ত। সম্ভবত ভালোবাসার মানে হলো কাউকে দেখে ভালোলাগা, যে ভালোলাগা পদোন্নতি পেয়ে পেয়ে ভালোবাসায় রুপান্তরিত হয় ঠিক যেমনটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বদলে যায় জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে। কাউকে মন থেকে বিশ্বাস করা সবকিছু নির্ভয়ে শেয়ার করা যা কিনা পৃথিবীতে আর কাউকে বলা যায় না।
ভালোবাসা মানে দুজনরে পাগলামি, পরস্পরকে হৃদয়রে কাছে টানা, ভালোবাসা মানে জীবনরে ঝুঁকি নয়ো, বিরহ-বালুতে খালপিায়ে হাঁটাহাঁটি, ভালোবাসা মানে একে অপররে প্রতি ঝুঁকে থাকা, ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্টিতে একটানা দুজনরে হেঁটে যাওয়া, ভালোবাসা মানে ঠাণ্ডা কফির পেয়ালা সামনে অবিরত কথা বলা। ভালোবাসা মানে প্রেয়সির জন্য নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেওয়া, সবাইকে পাশ কাটিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইলের ম্যাসেন্জারে চ্যাট করা, তাকে এক নজর দেখার জন্য মনটা ছটফট করা আবার দেখা হলে মুখে কথা আটকে যাওয়া, মনের মানুষটির জন্য অপেক্ষা করতে ভালোলাগা, তার কষ্টে নিজের কষ্ট লাগা, তেমনই তার আনন্দে আনন্দিত হয় মন। ভালোবাসা মানে বাই বলে কথা শেষ হয়ে যাবার পরও দুজনে মুখোমুখি বসে থাকা। ভালোবাসা মানে বিশ্বাস হৃদয়ে ধারণ করা, আসলে ভালোবাসা একটি মানবিক ও মানসিক অনুভূতির নাম যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, ভালোবাসায় যেমন আছে অনাবিল আনন্দ আছে সীমাহীন কষ্টও। ভালোবাসা এক অম্লান আশা অনন্ত অক্ষর যার ভাষা, ভালোবাসা নয় পাবার আশা যা সুন্দর অন্তরে.......!
ভালোবাসার মানুষটিকে নিজে যতই মন্দ বলিনা কেন কিন্তু অন্য কেউ মন্দ বললেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, মেনে নিতে কষ্ট হয় কেবল হৃদয়ের প্রতিটি পাজর ভেঙ্গে একটাই আর্তনাদ ‘মিথ্যে ওর নামে যা বলছে তা সবই মিথ্যে’। আসলে ভালোবাসার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সত্যিই দূরহ ব্যাপার। আমার কাছে ভালোবাসার মানে হলো দূরত্ব যতই হোক না কেন তবু অনুভবে কাছে থাকা, প্রতিটি নিশ্বাসে আর বিশ্বাসে হৃদয়ে মিশে থাকা একটি চাঁদমুখ। ঠিক যেমন চেতনানাশক এ্যানেসথেসিয়ার মত ছুরি-কাঁচির খোঁচাতেও কোন ব্যথাই অনুভূত হয়না কিংবা ভালোবাসার নেশায় সারাক্ষণ বুধ হয়ে থাকা.......!


(ভালোবাসার প্রিয় মানুষটার জন্য লেখা...)