হে প্রিয়তমা আমার...
তুমি আমার হৃদযন্ত্রের একটি মহাখন্ড
তুমিহীনা যেন ঘুর্ণীঝড় ফণী'র আঘাতে লন্ডভন্ড,
তুমি ফুলসজ্জার সাজ, তুমি ধ্রবতারার আলো
হাজার তারার মাঝে তুমিই সুখের প্রদীপ জ্বালো।


হে টুনটুনি তুমি...
আমার অপ্সরা, আনন্দের চাবিকাঠি
বুকের অতলে তুমিই সুখের শীতল পাটি,
তুমি পল্লী কবির নকশী কাঁথার মাঠ
তুমি আমার সাঁজের বেলা শান বাঁধনো ঘাট ।


হে সুরেলা কণ্ঠের রাণী...
বোবার মুখের ভাষা তুমি, বোধির শোনার অভিলাষ
হৃদয়ের আকুতি, তুমিই সৃষ্টি করেছ মহা ইতিহাস
তুমি আনন্দের ঢেউ তোলা, তুমিই স্বর্গের অপ্সরী
পিপাসার্থ মন তাইতো তোমার প্রতীক্ষায় মরি।  


হে ক্লিওপেট্রা আমার...
ধরিত্রীর বুকে যেন তুমি ফুটন্ত গোলাপ ফুল
তোমারই সৌরভে মন মোর মুগ্ধতায় আকুল,
তোমাতে সকল রুপের সমাহার, নেই কোনো ভুল
আমার দৃষ্টিতে তুমি প্রস্ফুটিত গোলাপ ফুল।


হে টুম্পা আমার...
হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও যখনি মেলে বিশ্রাম
তখনও তোমাকে বুকে নিয়ে আমি করি যে আরাম,
যখন ছিলে না তুমি, সেতো জীবন নয় ছিল মরনেরই একাংশ
আমার জীবনে তোমার সংযোজনে, তুমিই অর্ধাংশ।


হে আফ্রোদিতি আমার...
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ট তোমার মুখের মায়া
তোমাতেই খুঁজে পায় আমি আমার তিন সত্তার ছায়া,
ভালোবাসার মায়ায় সুভাষ ছড়িয়েছ তুমি
তোমার রুপে নয়, আলোতে আলোকিত আমার হৃদয় ভূমি।


হে সোহাগী আমার...
তুমি সবুজ বৃক্ষরাজির প্রকৃতির শ্যামল ছবি
আমার আকাশে উদীয়মান রক্তিম লাল রবি,
তুমি চির অক্ষয়, তুমি আমার স্বাধীনতা
তুমি আমার হৃদয়ের রাণী কবিতার গল্পকথা।
        
হে তিনসত্তা আমার...
এ সুন্দর পৃথিবীতে তুমিহীন আমি যে বড় অসহায়
বাঁধা পড়েছি তোমার ভালোবাসার আবেশের মায়ায়,
প্রমত্তা পদ্মায় আমাদের ভালোবাসার নৌকা ভাসাও
প্রেয়সী হয়ে গড়েছো হৃদয় রমনী হয়ে সংসার সাঁজাও।