এই আকাশে দুঃখ ছিলো এই বাগানে ঢের,
সূর্য উঠতো কেঁদে কেঁদে বাঙালি পায় টের।
রাত পেরিয়ে সূর্য আসে আঁধার যেতো রয়ে,
বইত দূষণ পরিবেশে স্বস্তি যেতো ক্ষয়ে।


আকাশ বাতাস মাঠে ঘাটে পরজীবীর ঘাঁটি,
সব অধিকার খাইত লুটে চুষতো সোনার মাটি।
ফুলের মধু মৌচাকে নেয় কাটলে হতো লুট
না দিলে সব বড়কর্তার অখুশিতে মুড।


ওই বাগানের গেলে মুজিব কেঁদে দিতো মুখ,
পরিচর্যা হয়না তবে নিতো ফলের সুখ।


মাঠের কাছে গেলে মুজিব মাঠ যে ওঠতে কেঁদে,
চাষা চাষী ফসল ফলায় মূল্য পায় না ভেদে।
নদীর কাছে গেলে মুজিব কাঁদতে উচ্চস্বরে
ওই সোনালি ইলিশ গুলো রয়না দেশের ঘরে।


যেই খানে ওই পা রাখে তার বঙ্গের মুজিব ভাই
হতাশা আর কান্না ছাড়া দেখে কিছু  নাই।
উঠলেন এবার গর্জে তিনি আর করবো না মাপ,
দেশের ভেতর এত কেনো দুঃখ জ্বালার ছাপ।


বায়ান্নে সেই সংগ্রাম থেকে করলেন প্রতিবাদ
মুক্ত করবে পরজীবীর স্বাধীনতার স্বাদ।
ভাসানী আর সোহারাউদ্দি শেরে বাংলা বাঘ,
আরো অনেক জ্ঞানী গুণী বললেন এবার জাগ।
বললেন তিনি এবার সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
স্বাধীনতার সংগ্রাম কথা ছড়িয়ে গেলো গেরাম
কে থামায় আর কে নামায় আর গর্জে উঠলেন বুকে,
দেশের তরে সকল যোদ্ধা সংগ্রাম এবার মুখে।


বলার জন্য নিয়ে গেলো  তাকে কারাগারে,
নয় মাস ধরে যুদ্ধ হলো প্রাণ খেলা এই  আরে।।


সেভিয়াতে ইউনিয়নে ভারত দিলো সৈন্য ,
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে কাটলো দেশের দৈন্য।
এই বাঙালির বাংলা ভাষা আরো পেলো দেশ,
রক্ত দিয়ে নাম লিখেছে সোনার বাংলাদেশ।


মোঃ মুসার লেখা
শশীভূষণ চরফ্যাশন ভোলা ।
মোঃ মুসার কবিতা পড়তে গুগল সার্চ দিন