গৃহের কোনায় দ্যাখো জমে আছে অন্ধকার,
একটু খানি আলোর কুঁড়ে আনা দরকার।
এই দায়দায়িত্ব কার দ্যাখে দ্যাখে ভাবি তার,
দিবসের মেঘেও তার করে আছে অন্ধকার।


আমরাতো নতুনের এই পথের পথিক।
আমরা দেখিতো সচ্ছ ঘুরে পৃথিবীর দিক।
আমাদের রয়েছেই পৃথিবীতে সচ্ছলতা
আমরা বুঝি প্রেমের নতুনত্ব আঙ্গিকতা।


দেখাতো যায়না বেড়া যতো অন্ধকার ঘেরা,
দেখাই যায়না দেহ যতো করি নাড়াচাড়া
দেখা যায়না খাবার, চাহনি অভাবে ক্ষুণ্ণা,
গৃহের ভেতর যেন খালি বাটি অন্নপূর্ণা।


নিভু নিভু প্রদীপের এই  বাড়িঘর জ্বলে,
আধুনিক সচ্ছ ঘরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কালে।
গৃহের বাহিরে যেন মানুষে মুখ আন্ধার
আমরা যেনো জাতির ছোট্ট তুচ্ছ পরিবার।


সেইদিন শিশুকালে অবাক অবুঝ মনে
কতো কিছু করে ছিল মায় আঁধার ঝপনে।
কতো ব্যবধান আছে ছিড়ে দিনে আর মাসে
কতো নিশ্বাস নিয়েছে প্রতিটি রুক্ষর শ্বাসে।


ছিলোনা আলোর বার্তা দিবস রজনী দোরে
পৃথিবীর মুখখানি দুই চোখে দেখা পরে।

রজনী ভরিয়া দেখি ঘর জুড়ে থাকে মায়,
সন্ধ্যা হলে ঘুম দিতো এই চোখেরি ডগায়।
বলেনা কেউকে কিছু তার মুখের ভাষায়,
ভেবে চিন্তা করে ফের এক আলোর আশায়।


আমরা অবুঝ কভু তখনি ছিলাম তার,
এখন জানি ফর্সার কারণ লুকায় দ্বার।
এই কারণ নয় আর প্রকৃতির খেয়ালের
ঘরে কেনো সচ্ছ নাই এইবদ্ব দেয়ালের।
একদিন এই গৃহে ছিল  ফকফকা সচ্ছ জ্যোতি,
গ্রামের মুরব্বি  সন্ধ্যে ঘরেতে পড়িত পুঁথি ।


আমরা নতুন শিশু জোয়ান যুব সন্তান
আজ কুড়িয়ে আনব গৃহের আলোর স্লান।
দেখবে সকল চোখে এই রম্য পৃথিবীর
যোদ্ধার অপেক্ষ রণ কর্ম লক্ষ্যর অধীর।


অভাব নামিছে গৃহ বাঁয়ে নিভে গেছে আলো,
সেই অভাবের শুণ্যে আর যে জ্বলেনি আলো।
কোথায় গিয়াছে আলো কেউ খুঁজে নাহি আর
সন্তানের গৃহ জুড়ে থাকেনা যে অন্ধকার ।


আমি চাই যে যাহার আমার গৃহের পূর্বে
শৈশবের বাসগৃহে আলো আসুক দুর্গে।
আমার সহোদরের দেখে যেন সচ্ছ তায়
আমি ঈশ্বরের সৃষ্ট প্রার্থনা কাতরতায়,
আমি যেনোই গৃহের আলোর আনার মাঝি।
এই কঠিন কঠোর থেকে খাদ্য খুঁজি আজি।