বাসার কাছে পাড়াপড়শি একটি চেনা ছেলে
নামটি তাহার রাখি মুকুল মিত্র দুস্থ মুলে
কথায় কাজে বড়ো ভাই সে পাঠ বিভাগে বড়
তারই মাজান ধার্মিক ছিল দেখছি আঁখি খুলে।


মুকুলের মায় তারই একদিন বাড়ি দিলো বিক্রি
চলে গেলে এখান থেকে শুণ্যর হামা গুঁড়ি ।
ভীষণ মনে কষ্ট হলো বলতে কিছু পারি
মুকুলের মার সুন্দর কথা অলক ভীষণ জুড়ি ।


দেখা হয়না মুকুলের সাথ অনেক বছর ধর
হঠাত্ একদিন আসছে ফিরে অবাক ফের নজর।
মুঠোফেনের নাম্বার দিল হতো কিছু কথা
কেমন থাকে কোথায় থাকে যতোই সচরাচর।


হঠাত্ একদিন রাগের মাথায় দিল আমায় ফোন
বলল আমি  কে তুমি ভাই বলিছ নাকি কেন?
বললাম আমি এই যে মুকুল এমন করিস ক্যা
ঠিকঠাক ইতো বলি কথা বুঝো নাহি কেন।


আস্তে আস্তে রাগ উঠে তার যা বুঝিনা আমি
তারই কথা শুনতে গিয়ে করি ইচ্ছে বমি
যতো বলি খুলে বলনা তত মারে প্যাচাল
নইলে আমি একাটব ফোন যতটা ইতরামি।


বলল আমার তুইকি কাউকে সত্যি ভালোবাসো
হঠাত্ কেনো এমন প্রশ্ন ফিরিয়ে তুই দিসো
এসব কথা আসছে কেনো বুঝিনা তার মানি
খুলে বলনা শুনি কথা তোর এইনা অবশিষ।


বলল কভু শারমিন নামক কেউকে তাকি চিনিস,
এসব কথা বলিছ কেনো শারমিন সে কে বলিস,
আবার শুরু করল মুকুল লাগল কোড়ামুড়ি
আগে তুইতো এই ছিলিনা চালাক হয়ে গেছিস।


কি সব যতো আজগুবি তার শুনতে খালি আছি
এই কথাটা সে ছাড়া আর  জানেনা কান মাছি
বলল তারি কাজিন নাকি আমি একটু  জানি
ওইবেটা তুই বহু বলছিস শোন,করো ধাসাধসি।


না আমি তাহ চিনিনা কি এমন কথা রাখ
কখনো আর যোগাযোগের গুল্লি মারি ভাগ
কখনো আর কথা নাই ভাগরে দূরে ভাই
আমি এসব জানিনা যার এই কথাটি থাক।


তখন আমি মাধ্যমিক পাশ করছি কেবল দিন
ভর্তি হবো অনেক দূরে বাজছে খুশির গীত
পড়াশুনা ছাড়া আমি এসব ভাবছি নাহি
এসব স্বপন আমার কাছে ত্যাক্ত ভারা শীত।


কদিন ধরে এই অপবাদা মনে খাইছে ঘুর
সুরের বাতাস ভীষণ দমের লাগেনা পেট ভোগ,
এই ব্যাপারে মুকুল আমার হয়নাই যোগাযোগ
আস্তে আস্তে ভুলে গেছি ব্যথার ভরা রোগ।


এইচ এস সি টা সরকারিতে কলেজে হই ভর্তি
মনে মনে প্রেম জাগিল লাগল মনে ফুর্তি ।
হঠাত্ একটি বাসে করে গেছি কলেজে দিকই
একটি মেয়ে উঠে বসল পাশের সিটটি ধরতি।


ভাবছি মেয়ে অপরিচয় কোথায় কেবা যাচ্ছে
কতো এমন আসে যায়কি কেবা মনে রাখছে
অথচ দেখি এক ক্যাম্পাসে উঠছি দুজন ঘিরে
ইচ্ছে জাগল উথাল পাতাল খুঁজে উঠে জাগছে।



ক্যাম্পাসেরি বটতলাতে নামল যখন মেয়ে
হঠাত্ করে ডাক দিল মুখ শারমিন বলল মুখে
সবাই ফিরে তাকিয়ে গেল ও মেয়েটির সাথে
বাসায় গিয়ে ফেজবুক বক্স সার্চ দিছি সুখে।


আসলনা কেউ ভাবছি বুঝি ফেজবুক খুলে নাহি
দুই মাস পরে হঠাত্ দেখি এক ইনবক্সটির কোনে
শারমিন নামে আইডি ভাসে নক করি তার সাথে
কিছু ক্ষণে রিপ্লে দিল অবাক আমিই মনে।


ভাবতে থাকি ওই মেয়েটি বাসে হইছে দেখা
অনেক কথা টেক্স করি যার এখন বধিরতা
হঠাত্ একদিন ফাইনাল এক্সাম হলে তারই দেখা
আমার পাশের সিটে পড়ে অবাক হবার কথা।
সেইদিনে তার কথা হইলো নামটি জানছি রিমা।


ভাবছি আমি ভুল করেই শারমিন দিছি নক
আস্তে আস্তে তাকে পেয়ে খাইছি মনে ঠক।
শারমিন নাকি বন্ধু যেমন হইছে বন্ধু  যারি
অচিন মানুষ ক্যাম্পাসের হয় এমন হলে হয়।


একদিন রিমার আজগুবি তার হঠাত্ বাজে দেখি
ওমা কঠিন দেখে আমি ছাড়ি মনের পিছু।
আবার আমি দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা টি দিছি
সেখানে এক! শারমিন নামক সিটে মেয়ে দেখি।


আমি আবার নক করিনা জানিনা কে সে?
প্রশ্ন উত্তর মেয়েটা জানতে নক করিল যে।
একটা করে চার পরীক্ষা শেষ হবার পর
নামটা তারই জিজ্ঞেস করি তোমার নাম কি যে।


শারমিন বলল , অবাক হলাম ভাবছি এসব কি
ইনবক্সটারি শারমিন এটা হইতে পারে যা না কি।
ভাবছি আমি যদি হয়তো সাত কপালের সুখ
মজার একটি হিস্ট্রি হবে তাইতো যেন কি।


দেখছি যতো লেখার ফাঁকে লাগছে তাকে খুব
মনে মনে ক্রাস খাইছি লাগছে প্রথম তায়।
অনেক ভালো লাগে তাহার এই অবাক যে ভাই
মনে হয় যে স্বর্গে আছি নতুন এই অধ্যায় ।


পরীক্ষা শেষ, যোগাযোগ আর হয়নি তার সাথে
জানিনা তার শুরূ শেষের সামনে তারি পিছে
দেখা হয়নি কখনো আর কলেজ বারান্দাতে
সুযোগ হয়নি কথা বলার দেখার পিছে পিছে।


অবশেষে রিমাকে তাই দিয়ে দিছি ব্লক
মুঠো ফোনের মুঠো কথা থামছে বন্ধু ক্লোজ।
তাহার সাথে থাকলে পড়ে অনেক হবে মাশুল
আগে ভাগে কেটে পরি মনটা রাখি খোলস।


অবশেষে জানতে পেলাম ইনবক্সরি শারমিন
আরে ভুল ভাল হিস্ট্রি সংকোচ মুকুলের সে মেয়ে
জানতে পেরে একলা একলা মনে আমি হাসি
ভুলে ভালে দেখা হলো অবাক হইছি চেয়ে।