আজ হয়ে যায় আরত্ত কাল কাল হয়না আজ,
সময় চলে আমার বাহির করি লাম আন্দাজ।
সূর্য উঠে হারিয়ে গেলো থাকে নাই আর ঘাটে,
সন্ধ্যা বেলা বাড়ি ফিরে নতুন দিনের পটে।
সূর্য কিন্তু বুড়ো হয়না বৃক্ষ যেমন বৃদ্ধ,
কাঁচা ধানের পাকা হলে চুলায় করে সেদ্ব।


দেখতে দেখতে সময় গেল আছি এলোমেলো
গুছাই কখন সংসার খানা সময় এখন গেলো।
এমন করিয়ে সময় গেল শিশু কিশোর নাবিক হলো,
বেঁচে থাকার খাদ্য গুদাম কতটা আর বোঝাই হলো।
অহেতুক এর পিছন পিছন করেছি সময় পাড় বিপনন
সার্থক কোথায় ভান্ড খালি দূরে থাকুক এই অশোভন।


মেরুদণ্ড কররে সোজা তুলব পিঠে কাজের বোঝা
অলস টলস কপাল গোঁজা লিখন নামক ভাঙরে পোজা।
নাবিক থাকতে অলসামি বৃক্ষের মত বৃদ্ধ হলে,
রক্ত যাবে ঠান্ডার তলে শক্তি করব লাঠির বলে।
গঙ্গার ভেতর ঢেউয়ের মত সময় গেছে সব হারিয়ে,
ফিরে আনার মন্ত্র খুঁজি পাবো কোথায় হাত বাড়িয়ে।


আজকে ঘরে ফুলের কুঁড়ি বিকেল করে ধুসর মলিন,
পুষ্প হয়ে বেজায় হাসির বাজিয়ে দেয় প্রাণটা কলিন।
নতুন নতুন লাগে আমার কালকে হব আমি পুরান,
দুখের বোঝা মাথায় নিয়ে হইছি কত পথের হয়রান।
বসে বসে নন্দলালের  নতুন ভাবি পিঠ লাগিয়ে
কোথায় গেছে সময় আমার  দুঃখের বোঝা টগ বাগিয়ে।


সময় ধরে বসে আছি সময় গেল চলে,
পুরান যুগের পুরান বোঝা আমার কাঁধে ঢলে।
সময়ের দাম বুঝি আমি পরীক্ষার সেই হলে,
সময় কাঁটা কেমনে গেল টের পেলাম না বলে।
জীবন থেকে সময় হারায়  বসে আছি কই,
জীবন পথের চাষের নাঙল কইরে আছে মই।
আর কত কাল থাকব বসে অলস দেহের সুরতহালে
কইরে আমার হাতের কব্জি দেহের লড়াই করব ফলে। ।