বন বাগিচায় বিড়াল ছানাটে
এমনা করিয়ে অহরে কাঁদছে,
ডাকাডাকি যতো শুনছেনা মায়
কে? দিয়েছে এই ফাঁদকি ফাঁদছে।


এই কান্নার উৎকন্ঠাটে অবুঝ শিশুর
যেমনি যে ডাক,
ঘর থেকে যার শব্দ শুনি সে
মানুষ সইতে পারাটা অবাক!!


ম্যাও ম্যাও করে মায়ের বিলাপ
নাইরে সাড়ার বেড়ালের মায়,
ডাকতে ডাকতে কন্ঠ তাহার মাথার লঙ্ঘ
জ্ঞান হারায় ।


নতুন ঘরের এই পৃথিবীর
কিছু দিন ফেটে আসছে শিশুই
এইতো শিশুর দুষ্টচক্রে ফেলে গেল তার
বাগিচে হতই।


খুদার জ্বালায় ডাকছে উদরে
মা কি ও শুনছে স্নেহৃর লাগে,
গলায় ভেতর কন্ঠ স্বরের
ভাঙছে খন্ডে খন্ডের ভাগে।


চিনেনা মানুষ সামনে গেলেই
পালায় বেড়ায় গভীরে তবুর,
খুদার জ্বালায় অজ্ঞানের
ভুলেছে মায়ের পাষাণ সবুর।


তিনদিন গেছে ঘরের কোনাথ
বাগিচার ছেড়ে আসল গৃহে,
পেটের মাঝেই শুণ্য খাবার
নিশ্বাস ছেড়ে ফেলতেছে দৃঢ়ে।


এক মুঠো ভাত দুধকে মিশিয়ে
রাখছি ঘরের একটু কোনায়,
কাতর দেহের মাতৃহারিয়ে
খেল খিদে তাই দেখছি মোনায়।


তিনটে বছর খুদার খাদ্য
খেয়ে হল নিজ অনেক যে বড়
মায়ের অভাব বুঝতে দেইনি
থাকতো কাছের পাশের যে জড়।


দুই দুই বার আছড়ে আমার
দিতেই হইল ব্যথার ওষুধ
মারতে গিয়েছি মা বলে ডাকল
মারিনি তবুও থাকি নির্বোধ।


হঠাত্ একদা মধ্যে রাতের
আসল বাহির থেকে চিৎকার
মধ্যে রাতের এক শব্দের
শুনতে পেলাম ডাক নিরাকার।


সকাল সকাল হাঁটতে হাঁটতে
দেখছি তাহরে তার লুটে পড়ে
কোন দুষ্টু যে মারল তাহার
মৃত্যু করছে দেখেছি কাতারে।