মা
- মোঃ মুসা
মা কথাটি মধুর অতি,
জুড়ায় বুকের প্রাণ,
মায়ের মতো আর কেবা হয়?
মা তো খোদার দান।
মার শাসানি বড় কঠোর
তবু আগলে রাখে,
শাসন শেষে স্নেহ ছায়ায়
আবার মিঠে মাখে।
তপ্ত রোদে বৃক্ষের মতো
দেয়রে মাথায় ছায়া,
ঝড় বাদলে কোল ছাড়ে না
নিদারুণ এক মায়া।
নিজ না খেয়ে সন্তান মুখে
তুলে দেয় রে আহার,
মায়ের মত কে আছে যে
এই জগতে যে আর?
তোমার চুলের ঢেউয়ে বাজে বাঁশি,
জলপাই পাতার নিচে বসে শুনি—
তোমার কণ্ঠে কেমন উত্তাল ঢেউ,
ভেসে আসে সন্ধ্যার জোনাক জ্বলা।
তুমি রূপের নদীর ঘ্রাণে-ভরা জলোচ্ছ্বাস
আমি তবে হলাম শ্যাওলা ভাসা মিছিল,
তোমার ছোঁয়ায় নরম হয়ে গলে পড়ি,
তোমার চরণ তলে ডুবে ভাসার কি মিল।
আমি কেবল খড়কুটোর কাব্য গ্রন্থ
তোমার শাড়ির আঁচল লুকোই যত্নে,
মৃদু হাসির সেই গোধূলির ফাঁকে
যেখানে রোদ ঝরে হালাল রত্নে।
যদি আসো, এসো ধীরে ধীরে,
আমার বুকের ভাঁজে রাখো হাতখানি—
বৈশাখী মন
বৈশাখ আমার জাতের বিকাশ
বাংলার কোলে অস্তিত্বে গাঁথা,
পেছন ফেলা সেই ইতিহাস
আমার শেকড় ছড়িয়ে মাথা।
বৈশাখ আমার জাঁতাকলে পিষ্ট
ডাল ভাঙানো স্মৃতির পাতা,
তালপাখার বাতাস খাওয়ার
জুড়িয়ে পরান যে হাত পাতা।
কুলায় উড়ে ধান,চাল ছাঁকা
মৃত শিল্পের ব্যবহৃত আবাস পত্র
বৈশাখ আমার গরুর গাড়ির
নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত যত্রতত্র।
আমার দেশের রঙ
- মোঃ মুসা
সবুজ আমার মায়ের আঁচলে শাড়ি
সবুজ আমার বৃক্ষ লতার ঝলক,
সবুজ আমার পতাকার হাসি মুখ
সবুজ আমার ময়ূর পাখির পলক।
আমার দেশের মাটিতে লুকিয়ে আছে
বৃক্ষ লতার ভরপুর শুধু আহার,
যত্ন বিহীন জেগে ওঠে নিজ গুণে
সাজিয়ে তুলেছে রশ্মি চুড়ির বাহার।
লাল আমাদের হাজার ফুলের হাসি
নীল আমাদের খেয়ালি আকাশ ধর্ম,
রূপসী মেয়ের পায়ের আলতা রঙে
লাল আমাদের স্বাধীন রক্তে কর্ম।
কালো আমাদের গরিব ঘরের ছবি
দিন দুপুরের ঢলে পড়ে যায় হঠাৎ,
দুঃখের যদি জগৎ চিত্র আঁকে।
আমি নারী যোদ্ধা
- মোঃ মুসা
আমি নারী গৃহের বুকে রাখি স্নেহের ছায়া,
ভাত বসিয়ে আগুন জ্বালি ঘামে ভেজা কায়া।
আমি নারী ভোরের আলো ঘরদোর ঝাঁটা দেই,
সাঁজঘরে আর রান্না শেষে যত্নের খেয়াল নেই।
আমি নারী কাপড় কাচি শিশুর জামা ধুয়ে,
হাতের ছোঁয়ায় যত্ন থাকে হাসিতে যায় ছুঁয়ে।
সংসার নিয়ে হিসাব নিকাশ সুখের দুখের রাখি,
নিজের কষ্ট মুখ লুকিয়ে হাসি মুখে থাকি।
আমি নারী গৃহের দাসী ভাবলে জনগণ,
নিজেকে খুব তুচ্ছ লাগে পৃথিবীর তখন।
আমি নারী সেক্রিফাইস করি স্বামীর ঘরে,
স্বামীর ঘরটা নিজেরই ঘর ভাবি সত্তার তরে।
চাকরি আমি নিষ্ঠার সাথে আমি নারী পারি,
জীবন যুদ্ধে এই সমাজে দিতে পারি পাড়ি।
আমি নারী, এগিয়ে যাব গৃহের প্রাচীর ঢেকে,
কে আমাকে দেবে বাধা, ইচ্ছে যখন থাকে।
শৈশবের বীর আমি
মোঃ মুসা
- শশীভূষণ, চরফ্যাশন ভোলা।
ঘাসফুল হয়ে গজি তনু মনে আইলের ধারে!
সুপ্ত আমার অনুযোগ ঢালা উষ্ণ দুয়ার খোলে,
আকাশ মালিক নীল রাঙা চাক ঢিলেঢালা ক্রাস
লুটিয়ে পড়েছে মাঠের মধ্যে শাড়ির দুপাড় দোলে।
সকাল হেলিয়ে টর্চ লাইটে সূর্য ওঠার রঙে
আমি তো এক হারিকেনে জ্বালাময়ী,
অভিলাষী মন খারাপের মেঘ জমে
আমার ভিত্তে আমি নয় আর জয়ী।
দুয়ারে গোলাপ পাপড়ির আবডালে,
লুকিয়ে থাকার লুকোচুরি ঢেউ তুলে,
সকাল আমার থামিয়ে বেরায় চুপে
থেতলানো এক হুটহাট মুখ খুলে।
তবুও আমার বাংলার বুকে বীর শৈশব দিন
অতীতের সেই উলটপালট ঘুরে আসে
---
বাংলার অপরূপ
– মোঃ মুসা
এই রূপসী বাংলার ঢাল ঐশ্বর্য রূপবতী
শালিক ডাকে ভোরের ধারে আবছা জলজল,
চরণ ধুলায় ভরে ধানের আঁচলে এক নারী
পলল মাটির স্নেহ নেমে লেলায় সচ্ছল।
নদীর কুলে ঝরে বাদল শ্রাবণ ঝরার দিন
বেণীর ফাঁকে বাঁধা কাশফুল ভাসে,
শিউলি ঝরে শাড়ির ধারে ধীরে অঙ্গ নারী
এক রূপসী ছবি তুলতে উত্তাল মন পাশে।
এই আকাশের কপাল লেগে থাকে তারা,
খেজুর পাতায় বাজে রাতের বাঁশি
পাখির ডানায় ভেসে যাওয়া বর্ণ
পাতার মতো চিকন চাঁদের হাসি।
এই মাটিতে জলের গন্ধে গাথা দুহাত
কুসুম কণ্ঠে গাওয়া মাটির স্মৃতি;
এই রূপসী বাংলার চোখে চিরসবুজ
নারীর প্রাণে হৃদয়ে দেয় প্রীতি।
চোখে তারা শালুক ভাসে
(রূপসী বাংলার চোখে)
চোখে তারই ভরা শালুক ভাসে
রূপকথার বাংলাদেশের বিলে,
ধানের খেতের সবুজ ঢেউয়ে ছুঁয়ে মুছলে গ্লানি,
চুলে যেন কুয়াশার ভাজ নেমে ভোরের নদী—
হাওয়ার টানে মৃদু মৃদু দুলে ওঠছে ধ্বনি।
হাসির মাঝে পদ্ম ফোটে ডানাকাটা রোদে
চোখের পলক ছড়িয়ে যায় বৃষ্টির অবরোধ।
গলার স্বরে কোকিল ডাকে মধুমাসের ভোরে,
নূপুর পরে ঢেউ তুলে যায় মায়া নদীর দোরে।
পায়ের ছোঁয়ায় অখুশি জল খুশির জোয়ার আনে
আকাশ ছুঁয়ে হেলে পড়ে শালিক ঘরের পানে।
তার রূপ যেন ষড়ঋতুর সাতকাহনের রূপ
এই রূপায়ণ আমার বাংলার অপরূপ।
---
রূপসী বাংলার হাঁটুর নীচে নদী
হাঁটুর নীচে নদী বয়ে চলে এক সমীচীন,
চুড়ির শব্দে বাজে ঢেউয়ের মৃদু কম্পন,
তার চরণে নুড়িপাথর ফুরফুর হয়ে উঠে
সৃষ্টি যেন বাঁধা ছোঁয়া জলে সুরের শ্রবণ।
কপালে তার ধানের শীষের সোনালি দাগ
মাঠের বুকে চিরে আসে নীরব দেখাদেখি,
বুকে জেগে ওঠে সদ্য পলিমাটির কাহিনী,
প্রতি ভাঁজে নদীভাঙার সবুজ মোছা কথা
নতুন উদ্যান ফিরে বাংলার সৃষ্টির সে জানি।
বায়ুর কাছে জলপাইয়ের পাতা কাঁপে,
মেঘলা আকাশ গলায় দোয়েল ডাকে,
আচলে তার শরতের কাশ ঢেউ তুলেছে
যেন বাংলার সাজুগুজু নারীর মনকে আঁকে।
রূপসী বাংলার মুখে
- মোঃ মুসা
রূপসী বাংলার চোখে যেই মুখ দেখি
উঁকি মেরে কোন এক নারীর ঐশ্বর্য,
স্নিগ্ধ বাতাস লেখকে নূপুরের শ্রেণী
ছায়ার আঁকা ঝংকারে মধুময় ধার্য।
শাপলা ফোঁটা সকালে উন্মুক্ত চুলের
জোৎস্নার হাসি কুঁড়াই রাতের গভীরে,
গোধূলি রঙের ঢেউ গায়ে মেশে তারে
আলো-আঁধারে বাঁশির যেন কাছেধারে।
কখনো কিশোরী ভেজা ভোরে হেঁটে চলা
শেফালি ছোঁয়ায় তার কোমল শিশিরে,
আষাঢ়ে বৃষ্টিতে ছুঁয়ে আঁখি জলধারে
ধুয়ে যায় পায়ে স্বচ্ছ কাঁচের আকারে।
নতুন ভোরের স্বপ্ন
মোঃ মুসা
নষ্ট পাতার মতন ঝরে,
সততা আজ কালো চোরে,
বাক্যে শান্তি, কাজে উরগ
ঘাসে চুপে ডুবে ঘোরে।
আদর্শ নেই ঘুণপোকা এক
স্বার্থ যদি সামনে আসে,
তথ্য খোঁজে, সত্য চাপে,
এই সমাজের আশেপাশে।
চোখ বুজে সব দেখে জাতি,
স্বপ্ন আজও কাঁদে বিরল,
আলো উঠে আকাশ জুড়ে
তবু আঁধার হলো সফল।
কে আসিবে দীপ্ত হাতে
ভণ্ডামির সেই ঘুম ভাঙাতে?
ভাঙবে গ্লানির কংক্রিট দ্যার,
তাকেই চাইছি সমাজ গড়তে।
জগৎ ছুঁয়েছি
মোঃ মুসা
কেউ যদি যায়,তোমাকেই ছেড়ে
কোনদিন যদি আর নাহি ফেরে,
ভুলে যেও তুমি তার সকাতরে
বলে দিও তারে মনে না-ই করে।
যদি পুরাতন প্রেম জাগ্রত করে
বলে দিও তারে বদলে গিয়েছি,
অনেক তুচ্ছ অবহেলা চেপে
একাকার থেকে জগৎ ছুঁয়েছি।
চোখের বালি
চোখের বালি উঠেছে কেন হাওয়ায়,
দেখতে গিয়ে চোখে জ্বালা ধরে,
চোখ মেলেছি চেয়েছি এক সুদিন
তো কুয়াশা নামছে তরতরে।
ভেবেছিলাম পথটা হবে সরল,
কাঁটার ভেতর হেঁটে পঙ্গু হলো,
পায়ে পাথর, কাঁধে দুঃখের ঝুলি
সকল কাঁটা সরানো কাল বলো?
ঘরের ভেতর আগুন লাগে কবে?
লাগিয়ে আগুন দূরে চুপে থাকে,
এদিক কত মানুষ পুড়ে হলে ছারখার
লাশের উপর সোনার জীবন আঁকে।
একদিন ঝড় থামবে যে শান্ত স্বরের
তখন চোখে পড়বে না আর বালি,
ভাঙা স্বপ্ন জোড়া লাগবে আবার
সব বিপত্তি বাংলার হবে খালি।
আমার দেশের রঙ
– মোঃ মুসা
সবুজ আমার মায়ের শাড়ির আঁচল,
সবুজ আমার বৃক্ষলতার ছন্দ,
সবুজ আমার পতাকার হাসিমুখ,
সবুজ আমার ময়ূরপাখার ছন্দ।
আমার দেশের মাটিতে লুকিয়ে আছে
বৃক্ষলতার ভরপুর শুধু আহার,
যত্নবিহীন জেগে ওঠে নিজ গুণে,
সাজিয়ে দিয়েছে রেশমী চুড়ির বাহার।
লাল আমাদের হাজার ফুলের হাসি,
নীল আমাদের খেয়ালি আকাশ ধর্ম,
রূপসী মেয়ের পায়ের আলতার রঙে
লাল আমাদের স্বাধীন রক্তে কর্ম।
কালো আমাদের গরিব ঘরের ছবি,
দিনদুপুরেও ঢলে পড়ে যায় হঠাৎ,
দুঃখ যদিও আঁকে জগতের ছবি—
তাতেও লুকিয়ে থাকে প্রাণ এক সৎ।
বাদল দিনে
- মোঃ মুসা
নিশ্বাস টানে কাঁপে পাতার মিছিল,
ফোঁটার শব্দে জেগে ওঠে শূন্য রাস্তা পিছিল।
ধুপ ধুপিয়ে বৃষ্টি নামে টিনের চালে ঘেঁষে,
বাঁশির সুরে মেঘের পোশাক যাচ্ছে পেঁচে।
কাদামাখা পথটি ধরে ছুটছে ছোট্ট নদী,
হাওয়া গায়ে নারী যেন ভেজা চুল অবধি।
ডোবা নালায় ভেটকি মাছের জগাজাগি হুঁশ,
বর্ষা নামে স্বপ্ন কুঁড়ে পুকুর খেলো ঘুষ।
বুঝি না তার মতিগতি জানলার দিকে ধারে,
বৃষ্টির দিনে গল্প শোনা থেমে স্নিগ্ধ সারে।
ফুটে ওঠে চুপচাপ দিন কুয়াশা মন ঢাকা,
জলে মাখা পরিবেশে বাদল ঝরা আঁকা।
বৃষ্টি
মোঃ মুসা
মেঘকে ঠেলে বৃষ্টি আসে যখন তখন
বৃষ্টি আসে বাগান বাড়ির পাশে দিয়ে,
পাতার সাথে গা মিশিয়ে জল আকারে
না বলেই ঠিক বৃষ্টি আসে সৃষ্টি নিয়ে।
ছোঁড়া বাতাস পাঠায় চিঠি বৃষ্টি বিলাস
আসছি আমি তেড়েফুঁড়ে যা ভেজাতে,
গাছের পাতা ভেজা শরীর চুবিয়ে দিতে
বৃষ্টি আসে পায়ের পাতা ধুয়ে দিতে।
দুঃখিত জান্নাত আপা
মোঃ মুসা
বাপের বাড়ি পর করেছে
আপন করে পর,
পরের বাড়ি নিজের ভেবে
কাটিয়ে দিলো ঘর।
নিজের মাকে এখন তিনি
ডাকে না আর সুখে,
পরের মাকে মা বলে আজ
মধু মাখা মুখে।
শ্বশুরবাড়ি নিজের বাড়ি,
শ্বশুর হলো বাপ,
তাকে এখন বাবা ডাকছে
লাগিয়ে মধু ছাপ।
দুটি ছেলের জননী তিনি
কন্যা ঘরে দিবে?
সিজার ছাড়া প্রসবে তার
প্রদীপ গেল নিভে।
নারী তোমার মূল্য জাতি
দিতে পারে না কেউ,
ক্ষমা করিও এই পৃথিবী
নিঠুর ছোঁড়া ঢেউ।
বৈশাখী মন
মোঃ মুসা
চাষার চোখে মাঠ লিখেছে
সৃষ্টি সুখের কী উল্লাসে,
রোদ্দুর তাকে আঁচল ধরে
ফসল নিয়ে কে হাসে।
বৈশাখ আসে আম ঝরাতে
ধানে চিটা ঝেড়ে,
মেলার যাওয়ার ফেলোশিপে
মনও তেড়ে বেড়ে।
রূপসী তার আলতা পায়ে
বাঙালি মন শাড়িতে,
মেহেদী হাত নূপুর পায়ে
সুবাতাস বয় নারীতে।
দূরত্ব যখন স্থায়ী
- মোঃ মুসা
তোমার চোখে এই পৃথিবী খুঁজে
শীতল পাটির নরম ছোঁয়ার আশে,
হারিয়ে গেছি এক জনমের কালে
এখন তুমি অনেকটা পরবাসে।
একটি সময় থাকতে কেবল মনে
এখন আপন ভাবা কি দুষ্কর,
এই পৃথিবীর আপন পরের পাল্লায়
কেউ কারো নয় স্রোতের স্বার্থপর।
এখন তুমি ভুলে একবার ফিরে
আমায় নিয়ে ভাবছ কবেকার,
এখন আমি তোমার যেমন নেই
আমি ও আজ ভাবিনি যে তার।
তোমার কথা ভাবতে গেলে আমি
মনে হচ্ছে স্রোতের উল্টোয় নেমে
তুমি নামক দিলাম সাগর পাড়ি
পথের তরী ডুবে গেল থেমে।
পোকার সাথে লড়াই
মোঃ মুসা
স্বচ্ছ সুন্দর তোমার নরম হাতে
টয়লেটে কেন পোকার সাথে লাগো,
ডাস্টবিনের যুদ্ধ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
নোংরা হবে স্বচ্ছের হাত টা-গো।
আবর্জনার মধ্যে পড়ে যদি
লড়াই করে জেতার খেয়াল কিসে,
নোংরার সাথে নোংরা লড়াই মানায়
ভুলোমনার হয়ো না কূল দিশে।
মানুষ নামক আবর্জনার বিবেক
তাদের সাথে লড়তে যেও নাকো,
তোমার সাথে তাদের মানায় নাকি
সময় থাকতে শীঘ্রই সরে থাকো।
ময়লার ভেতর যদি হাতটা রাখো
তোমার হাতে ময়লা লাগবে ঠিকই,
নোংরা হবে নোংরার সাথে লড়ে