শুনো,
রবে মিয়া নিত্য দিন খেতো খালি মার ,
আত্মীয় স্বজন নাহি করে আচারবিচার।
কিছুদিন লোক এসে তার নিয়েছিল খোঁজ,
পিঠানোর দ্বায় শুনে তার করিল আক্রোশ।


যেই কথা প্রতিদিন শুনে ভোরের খবর ,
এখানেতে হয় উল্টা ঘটছে জোর জবর।
রব মিয়া তাহলে কি? খুব দুর্বল আছিল ,
আরে নাহ্ ছেলে মেয়ে ছিল বিপক্ষে হাছিল।


দিনে আনে দিনে খায় এই আবদুর মিয়া,
পরের জমিতে যায় কাজে রথ বিক্রি দিয়া।
যেখানে পুরুষ কিছু করে স্ত্রীকে অবিচার,
এখানেতে হয়েছিল সম যতো উল্ট তার।


গৃহ বউ রেনু বিবি ছিল জম সাহসের
মারিতো মুগুর লাঠি গা ছেড়ে নিত্যদিনের।
যতোগুলি মার দিতো উহহে আসে চিৎকারে।
প্রতিবেশীর হৃদয় কেঁদে উঠিত শেহরে।
রব মিয়া রোড ঘাটে তারই ইজ্জত লুটে
দমবার সহ্য দিয়ে চলা হাটু নাহি ছুটে।


যেনো,
মাঝে লোক ডাকে পথে ডাকে উচ্চস্বরে
কেউ কেউ আসে ছুটে তারি ঘরের দুয়ারে ।
যতোদিন দিতে পারে ঘরে পয়সা কামাই ,
যতোদিন আদরের থাকে স্ত্রী বলে জামাই।
টাকার সীমান্ত শেষ তার চলত মাইর ,
কোনো দিন থেকে যেন ছিল ঘরের বাইর।
এক নয় দুই নয় তারি দশটি সন্তান
ছেলে মেয়ে বুঝে গনে কে হয়েছে হয়রান।
লোক গুলি এই বার যার ডেকে তাকে বলে
কেনে থাকিস ভাইরে ভাগ এ সংসারালে।
চল ভাই ছেড়ে দাও স্থল এইনা বিন্দাস
ওই মিয়া কিঠা বলো মোর করো পরিহাস।


মাইর দিলে আমারে  দিছে মোর ঘর পতি
তোমার এই ভাইযে হতে পারে নাকি সত্তি।
যতো মাইর গাইর পড়েছিল তার পিঠে ,
তবু তার সংসারের ছেড়ে স্বাদ নাহি মেঠে।


যেনো,
ছেলে বড় হলো করে নেয় দুজন বিয়া
এখন আর শুনিনা বেশি আওয়াজ চিৎকার নিয়া।
দেহের তার এমনি রয়েছে হাজার মার,
তবু তার সংসারের দেয় নাই হাল ছাড়।
এই হলো অত্যাচারে সংসারের দায়ভার।
তবু,
যেন জয় হলো এপুরুষের সংসার।


৮✝৮ ছন্দ/
দেহের তার এমনি /রয়েছে হাজার মার
তবু তার সংসারের/ দেয় নাই হাল ছাড়।