স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম কাচা ঘুমের ঘরে,
সকাল বিকেল স্বপন ভরত  আমার কুল কিনারে।
মধ্য রাত্রি নেমে আসল হলাম যেই নিশ্চুপ,
চোখের উপর ঘুমিয়ে ছিলাম ক্লান্ত দেহে খুব।
ছেছড়া একটা চোর ডুকেছে রাতের অন্ধকারে,
চোখের কোটায় ঘুমিয়ে ছিলাম দেখিনি তাহারে।


হঠাত্ যখন ঘুমের মাঝে জেগে আমি উঠি,
তখন দেখি খোলা আছে আমার দরজা দুটি।
স্বপ্নের ভাড়া রসের পুঁজি নিয়ে গেল চোরে,
সেখান থেকে বিষাদ মনে দুঃখ ঘিরে দোরে।


সেই থেকে আর ভাঙন ধরে আমার ঘরের চালা
চোখ ফিরিয়ে দেখিনি আর মনের ঘরে জ্বালা।
ভাঙল আমার হাঁটুর শক্তি কমল হাতের বল,
সেখান থেকে মাঠ থেকে আর হয়নি আর ফসল।


আনমনে এই পথের মাঝে ঘুরছি কত দূরে,
পাইনি আমি চোরের দ্যাখা তাই একটু নজরে।
পাইনা খুঁজে পথের দিশা মানুষের কি মুখ,
যারা ছিলো সঙ্গী সাথী মিলাতাম দুই বুক।
যাদের আমি পথ দেখিয়েছি তারা আজ চেনেনা,
তাদের কাছে খুঁজছি পথের তা তারা বুঝেনা।


একদিন পাঠের সকল বিদ্যার অক্ষর পড়ল মনে,
ওল্টাতে আর শুরু করি এই পথ সমাধানে।
খুঁজতে খুঁজতে পেলাম আমি চলার পথের রাস্তা,
যখন আমার কেউ দেখালনা ঠিকানা আর আস্তা।