তোমারে পড়িছে মনে
আজি নিভৃত নিশিত আধারে
                    ব্যাথাভরা শিহরণে,


একা নিরালায় শ্রাবণ আঁধার রাতে
হয়তো তুমি মিশিয়া গিয়াছ দূর তাঁরাদের সাথে ।
যেথা ছিলে তুমি মোর সাথে
সেথা কাঁদি আমি তারি ঘাঁতে,
আজি এ তিমির নিবিড় আঁধারে
                   ঘন বরিষর রাতে ।।


তোমারে পড়িছে মনে
তুমি তো রহিছো দুরপানে ঐ
           আনমনে বাতায়নে,
যখন তুমি গেয়েছিলে গান
সকলের তরে দিয়েছিলে প্রান, করিয়া উজান !
ভাবি সারারাত তোমার স্মৃতির সাথে
আজি এ শ্রাবণ ঘন বরিষায়
                   তিমির আঁধার রাতে ।।


তোমারে পড়িছে মনে
আজি এ রাত জাগিয়া রয়েছি
                 তোমার স্মৃতির স্মরণে,


তোমার সমাধি তলে ,
বর্ষায় যারা ফুটেছিল তারা
              ছেয়ে গেছে ফুলে ফুলে ;
তোমার সুরের সাথে,
শ্রাবণের সুর মিশে গেছে তারি
                    করুন করাঘাতে ;


তোমারি স্মরণে গগন ঘনিছে মেঘে
বারি ঝরে ঐ প্রবল ধারায়
              মম অন্তর বেগে ।।


তোমারে পড়িছে মনে
কেন জানি অকারণে !
আজি এ নিবিড় তিমির রাতে
                     শ্রাবণ ধারার ক্ষণে,


এই যে সেদিন তোমারি ছায়ার নীড়ে
কতশত সুর ভেসে যেত
                   ঐ জলের ধারার তীরে,
এই যে সেদিন তোমারি কথার ছলে
কতকাল যে কেটে গেছে
                      ঐ অশ্বত্থ বৃক্ষ তলে,
সেই বৃক্ষের পাতাগুলো আজি ঝরে
আজি সে জল অশান্ত হয়েছে
                              প্রলয় শ্রাবণ ঝড়ে ।।
তোমারে পড়িছে মনে,
শ্রাবণ রাতে ভেসে আসে সুর
                  দূর হতে ঐ বনে
তোমার সুরের গান
আমার বেদনা আজি রুপ ধরে
                কেঁদে উঠে ঐ প্রাণ
তোমার সুরের বাণী
স্মৃতির বেদনা তব ঘিরে ধরে
            আঁখি ভরে আসে পানি
ভাবি সারারাত তোমার স্মৃতির সাথে
আজি এ শ্রাবণ ঘন বরিষায়
                       তিমির আঁধার রাতে ।।


সহসা চমকে বিজিলির করাঘাতে !
বাতাস বহিছে অতিবেগে তারি সাথে ;
শান্ত মন অশান্ত হয়েছে আজি এ শ্রাবণ রাতে,
তোমারে এমনে স্মরণ করিয়া তোমার স্মৃতির সাথে –
তব- তোমারে পড়িছে মনে
আজি এ নিভৃত নিশিত শ্রাবণ রাতে
                   ব্যাথাভরা শিহরণে ।।