অন্বেষণ করি সোনার তরী
জুনায়েদ খান প্রান্ত
---------------------------------------
আর কত দূর নিয়ে যাবে আমায় বলো হে পথিক,
বলো না কোথায় গেলে পাবো খুঁজে সোনার তরী।
কোন পারে ভিড়িবে ডিঙি বুজিতে পাড়ি না,
কী জানি আছে ভাগ্যকূলে বৈঠা হাতে দাড় টেনে?


যখনি বলি দূর দেশী ওগো সহযাত্রী বিদেশিনী,
তাকিয়ে দেখি হাসিমাখা মুখখানা মধুরহাসিনী।
বুঝিতে পারিনা কী আছে তোমার অন্তর জুড়ে?
তবুও অনুধাবন করি বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি থেকে।


কোথায় চলেছি কিসের অন্বেষণে তাহা না খুঁজি?
কী আছে কোথায় নীরবে দেখী  রুপ সুধায় অন্তর দামী?
প্রাতের বেলায় অকূল সিন্ধু উঠিতেছে জাগিয়া,
দূর গগনতলে ডুবিতেছে তপন পশ্চিমে গিয়া।


দিনের আলো শেষে সন্ধ্যা নামে গগনচুম্বী,
ঝলিতেছে চিতা অন্ধকারে সন্ধ্যার বর্ণিল রঙে।
আসিতেছে হাওয়া তরল অনল,
তীরে পড়িয়াছে মেঘচুম্বিত অম্বরতল।


অস্তগিরির চরণতলে গলিয়া পড়িয়াছে,
দিক অভিসারে দীর্ঘশ্বাস জলোচ্ছ্বাসে।
যেন ছলছল আঁখিজোড়া অশ্রুজলে ভাসে,
ঊর্মিমুখর সাগরের জলরাশি গর্জে ওঠে।


সংশয়ময় ঘন নীল নীর চেয়ে না থাকি তীরে,
দীর্ঘশ্বাস ফেলি বায়ুতে সতত অন্ধ আবেগে।
অসীম রোধন পৃথিবী জুড়ে প্লাবিত হয়ে দুলিতেছে যেন,
এরি মাঝে বসে নীরব হাসি, হাসিতেছো কেন?


কেন জানি বুঝিনা বিলাস কী জাগিয়াছে তোমার হর্ষে?
তোমার নয়নে নবীন প্রাতে কে যেন ডাকিয়াছে প্রভাতে?
সম্মুখ প্রসারিত করে অসীম প্রাণে চেয়ে,
চঞ্চল আলো আশার বানী চিরন্তনীতিতে।


তারপর কখন যেন উঠিয়াছে মেঘবরণ বৃষ্টি ছবি,
হাসিতেছে রবি ফলিয়াছে ফসল শান্ত জলরাশি।
বেলা গরিয়ে যায় কোথায় অন্বেষণ করি আমার সোনার তরী,
স্নিগ্ধ মরণ কোথায় খুঁজি, যেখানে আছে সর্বদা শান্তির বানী।