বার্ধক্যের স্তূপাকার
জুনায়েদ খান প্রান্ত
____________________


যতক্ষণ আছি ধরনীর মাঝে স্থির হয়ে।
সেটুকু সময় জমাইয়া রাখি,
বস্তুর ভর নিজে থেকে নিয়ন আলোকে।
নিদ্রার পিত্তশুলকের মাঝে বিশ্বরেখা টেনে।


আকুল এই জীবন সংসারে,
কখনোবা নীলের আবরণ নেমে আসে।
কালো হয়ে মেঘের ঘনঘনানিতে বৃষ্টি ঝড়ে,
দুঃখের বোঝা বেড়ে যায় জীবন পথে৷


আবেগের জলে স্মান করতে চাইনা,
বিবেকের টানে পুলকিত হতে চাই।
সর্তক বুদ্ধির সাথে নিদ্রা হারায় নিমিষে,
জগতের মাঝে ভ্রমণ করে যায় লোকজনের সাথে।


হাসিমুখে সাক্ষাৎ করে সম্পর্কে দৃঢ় বানায়।
সংশয়ের অবকাশে চমকাইয়া ওঠি পক্ককেশে।
বিচিত্রিতার মাঝে সঞ্চয়ের খাতায়,
বেদনার ভার জমে জীবনীগ্রন্থ ক্ষয় হতে হতে।


যখনি যাইবো পূর্ণ হতে ঝর্ণার দ্বারে,
অমৃতশুধা প্রাণ করবো বলে সম্মুখে বহির্মুখে।
নবীন যৌবন ওঠবে জাগিয়া শিহরিত হয়ে,
বিকশিত হবে  প্রাণ জীবন নদীর সন্ধিক্ষণে।


ওরে তোরা আর ডাকিস না পিছনে,
রবো না আর কোনো মতে ঘরের কোণে।
চিরযৌবন বার্ধক্যের স্তূপাকারে বরণডালা,
আমিতো থাকি মৃত্যুর গুপ্ত প্রেমের রথে চড়ে।