নদীর তীরে বিন্দাবনে
জুনায়েদ খান প্রান্ত
______________


নদীর তীরে বিন্দাবনে
অসময়ের ছেঁড়া জালে।
সহপাঠীদের অগোচরে
আনমনে লিখতেছিলাম।
ছন্দের সাথে তালমিলিয়ে।
হঠাৎ করে নদীর সরু পথে,
ঝড় ওঠে ছিলো জলরাশি জুড়ে।
লঞ্জ টার্মিনাল দুলতে ছিলো,
ঢেউয়ের সাথে কাঁপুনি দিয়ে৷
লোকজন সব হকচকিয়ে ওঠে,
ঘূর্ণিঝড় ছাড়া জলোচ্ছ্বাস দেখে।
আপন উন্নতি হচ্ছে দেখে,
হিংসায় কিছু লোকের মাঝে,
আগুনের ফুলকি ছুটে শরীর জুড়ে।
শুধালাম সনাতন পদ্ধতিতে,
কোথায় থেকে আগমন ঘটে?
একদিন নিশি ভোরে,
স্বপ্নে দিবো তোমায় চুয়ে।
পুরিবে মোর প্রার্থনা রৌদ্র দিপ্ত দিনে,
পদ্মা নদীর তীরে বসে রুপ সুধানোকে ঘিরে।
বিষণ্ণ মনে দিনের আলোর সাথে,
সকল হাসি কেন যেন অমলিন হয়ে ওঠে?
নিজের অজান্তেই নয়ন
জোড়া দিয়ে অশ্রু পড়ে।
গাঁ জুড়ে কাঁপুনি ওঠে,
রোগব্যাধি উপশমে কিছু না থেকেও।
কেন জানি পুড়নো কথামালা,
লোকজনদের মুখে উঠছিলো জেগে।
কী যেন আছে এখলাছপুরে?
বলাবলি করছিলো আমার দিকে আঙ্গুল তুলে।
নদীর পাড়ের দিগন্তে জুড়ে,
অস্তাচলে রক্তছবি উঠছিলো ভেসে৷
সাধুর বীণায় গানের পসরা সাঁজে,
কথার মাঝে স্মৃতি রোমন্থন করে।