নবীন বরণ
জুনায়েদ খান প্রান্ত
------------------------------
একদা নবীন রাতে যৌবন উথলিয়ে ওঠে,
বাহির দ্বার বন্ধ করে ভিতরটা আলোকিত করে।
স্বপ্ন থেকে তরঙ্গ সঞ্চার অবিরতি ভাবে,
কম্পমান হচ্ছে গায়ের লোমকেশ দিয়ে।
হাজারো তারারা খেলছিলো গগনচুম্বীতে,
চাঁদের বুড়ী হাতছানি দিচ্ছিল ধরনীর মাঝে।
হয়নি কখনো দেখা নিরখিয়া আকাশে,
শীর্ণ হয়ে শুকতারা এসেছে পূর্বতটে।
অন্ধকার কোণে বিকাশ জাগরণে,
এখনো ভাঙেনি ঘুম নিশিভোরে।
পশ্চাতের মুখে ছিলো দীর্ঘ রাজপথ,
এখন শুধু আছে ধ্বংসাবশেষ দাঁড়িয়ে।
আপন মনে বসে সরু রাস্তার কাছে ভাবিয়া দেখি,
অরুন-রাঙা চরণে উঠতেছে সূর্য মামা হেসে,
লাল রক্তিম আবছায়া পূর্ব দিগন্তের কাছে।


কোনো এক ধূসর গোধূলি বেলার সন্ধ্যায়,
ঘুমের মাঝেই বিরূপ যেন পূর্ণদ্বারে একাকার।
ঘুমের সান্দ্রতার সাথে নিস্তব্ধতা বিরাজ করে,
কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল জনপ্রাণ।
ছোট ভাই-বোন আর বাবা-মা সকলে একত্রে,
ঘুম নামক বস্তুটার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে।
বিলীন হয়ে যায় পেরেশানি আর মাথাব্যথা,
এসব নিয়েই তো চলছে আমাদের জগতটা।


ব্যাকুল নিরিখ নয়ন জোড়া মেলিয়া,
মুদিত পলক ফেলিয়া দৃশ্যমান সীমারেখা ,
মানেনা বাঁধা হৃদয়দল বহিঃ ভূত আখাক্ষা।
মৌসুমী গাছের ঝরাপাতা আছে বিছিয়ে,
হলদেতে আভাতে নীরিখ আঁখির ফাঁকের
দেখি চেয়ে কী আছে নিভৃত নিকেতনে?
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রঙিন কলমে চিত্রখানা আঁকি,
কিছুটা লেখালেখি করি ডায়রির পাতার মাঝ।
তার সঙ্গে নিদ্রানিমগনা আপন নামধাম সঁপিলাম।
মুক্তা-মনির দেশে বাঁধিয়া অলংকরণ রাজবালা
পড়িয়ে দিবো তাকে সবুজের গালিচার মঝে।
নবীনকে করিবো বরণ হাসি-ঠাট্টা আর উল্লাসে।