পহেলা বৈশাখ  
   জুনায়েদ খান প্রান্ত
---------------------
চৈত্রের দাবদাহের পরে,
বৈশাখ আসে নতুনের বার্তা নিয়ে।
কালবৈশাখীর ঝড়ে প্রাণ সঞ্চার করে,
মাঠঘাট আর সবুজের অরণ্য ঘিরে।


ফসলে ফসলে ভরে জমি,
কৃষকের মুখে ফুটে হাসি।
সোনার ফসলের গোড়ায় কাস্তে চালায় কৃষক,
দখিণা বাতাসের সাথে বাউল গান ধরে আপন সুরে।


দোকানীরা দোকান সাঁজায়,
রঙ্গিন কাগজের সহিত বাহারি সাঁজে।
পূর্বের দেনাপাওনা সুদ করে ক্রেতারা,
হালখাতায় নতুন করে নাম লিখিয়ে মিষ্টিমুখ করে হাসিমুখে।


ঢাক-ঢোলের শব্দের সাথে,
সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গন নতুন রুপের দেখামিলে।
ধনী-গরিব সবাই একসাথে মিলে,
শোভাযাত্রায় রওনা হয়, বাদ্যযন্ত্রের সাথে তাল মিলিয়ে।


গ্রামে কৃষক-কৃষাণীরা একসাথে মিলেমিশে,
বাউল সংগীত স্রোতের সাথে অনুষ্টানের সূচনা করে।
যুবক-যুবতী আর শিশুরা একসঙ্গে,
পুরনোকে বিদায় দেয়, নতুনকে বরণ করে।


হাজার বছরের সাংস্কৃতি অনুসরণ করে,
প্রভাতবেলা সবাই ছুটে পেট পূজা করবে বলে।
ইলিশ-ভাজা আর পান্তা-ভাত সাথে,
নববর্ষের রেওয়াজ হয়ে থাকে।


সাদা লালপেড়ে শাড়ি সাথে কানে দুল পড়ে।
খোঁপায় গাঁদাফুলের মালা গেঁথে,
কিশোরীরা ছুটে চলে বৈশাখী মেলার দিকে।
সবাই একসাথে মেতে ওঠে আনন্দ উল্লাসে।


বর্ষবরণের নানা আয়োজনের সাথে,
সবাই নাচে গায় প্রাণ খুলে।
আতশবাজি আর নাগরদোলার সাথে,
এলো পহেলা বৈশাখ রাঙ্গিয়ে দিতে।