সাঝের বেলায়
মোঃ রায়হান কাজী
-----------------------
সাঝের বেলায় অকূল স্রোতে গাঁ ভাসিয়ে,
জীবন চলছে অনিশ্চিত গতিবিধির তালে পা মিলিয়ে।
অস্তাচলে গাছের ফাঁকে ভাসছে পাখি আকাশ প্রাণে,
সূর্যি মামা হাঁটছে যেন তারই সাথে দিন অভিসারে।
দেখছি আমি জগতটাকে খানিকটা ঘুরে ফিরে,
মনের মাঝে রং লাগে তাই প্রকৃতির বাহারি সাঁজ দেখে।


চিনবে কী আমায় অনেকের মাঝে একজনা?
একটি-দুটি যায় যে তরী ভাটির সাথে ঘরছাড়া,
হৃদয়ের অন্তরালে লাল-সবুজের চিত্র এঁকে,
দেখবো আমি নীড়ের বেলায় ঘরে ফেরা সূর্দশনকে।
চলেছি আমি একলা পথে দিগন্তের কোল ঘেঁষে,
বিকেলের ঐ রক্তমাখা সূর্য মামার হাত ধরে।
যাচ্ছি ভেসে উজান দেশে আলোছায়ার নগরিতে,
নামিয়ে মুখ চাহিয়া সুখ তৃষ্ণা আশা সুখের খোঁজে।


দিনের শেষে ঘুমের দেশে অন্তঃনিদ্রা পরম আবেশে,
ঘোমটা-পরা ঐ ছায়া,ভুলালো আমায় ক্লান্তদিন শেষবেলা।
স্বপ্নময়ী সোনার কূলে আঁধার মূলে কোন মায়া?
জানিনা আমি জানিনা অন্তরালের এই ছায়া।
প্রভাত ফেরী আর শেষবেলা গেছে যারা তরীর টানে,
যারা যাবার তারা তো গেছে অনেক আগে নীড়ে।
তীরেও না নীড়েও না যে জন আছে দোটানা,
থাকবে কী তারা মাঝখানে একলা পথে দাঁড়িয়ে?
সময়ে সাথে দিনের আলো যাবে নিভে বুঝিনা,
চোখের কোণে অশ্রুকণা চেপে রাখতে হাসি পায়,
জীবন মাঝে সাঝের পথে আলোর সাথে কেন চললে না?