স্রোতস্বিনী
মোঃ রায়হান কাজী
---------------------------
একাকী দাঁড়িয়ে আছি বৈঠা নিয়ে এপারে,
অপেক্ষায় গুনছি প্রহর দিবারাত্রি এক করে।
তুমিতো দাঁড়িয়ে আছ অবগুণ্ঠিত পথ চেয়ে,
স্রোত বহে ভাটির টানে নৌকার  দাঁড় বেয়ে।
এসোনা আজি এক প্রাণে এক সুরে মিশে,
গানের পসরা সাজায় নিকুঞ্জের তরু দিয়ে।
বাতাস বহে মৃদুস্বরে আর বেঁধে রেখোনা তরী
চলে এসো স্রোত সঙ্গিনী হয়ে এপারে।
আনন্দ উল্লাসে রাতের চাঁদনিতে জ্বালিয়ে,
অশ্রুসিক্ত প্রাণে মৃদুতার দোলা লাগে গাঁয়ে।
তোমার সাথে সুরের ভেলায় ভেসে অস্তমিত হয়ে,
সূর্য উদয়ন কালে আর্যগণের শিহরণ জাগে।


বেদনার দ্রুত উঠছে ভেসে নয়ন জোড়ে,
কবে এসে বাজাবে বাঁশি তুমি আমায় আপন করে।
আনন্দময় নীর বর্তমান আছে ঝর্ণার প্রান্তরে।
নুপুরের তালে জলপ্রপাতের শব্দের ধারার সাথে,
ছন্দ মিছিলে হারাবো নীলাম্বরীর বুকে।
নিছক দুরত্বকে দূরে ঠেলে সকলের মাঝে,
গাইবো গান ছন্দ বিহ্বলিত স্বপনদুয়ারে।
এমনি করে স্রোতস্বিনী হয়ে বৈঠা নিয়ে দাঁড়ে বেয়ে,
আমার সুরগুলো পায় চরণ মাঝ নদীতে।