মেঘে ঢাকা পড়েছে সূর্য,হারিয়ে যাচ্ছে রোদ,
দুর আকাশে শোনা যাচ্ছে গুড়ুম-গাড়ুম শব্দে বজ্রের ধ্বনি।
কৃষাণীরা ধান উঠাতে শুরু করছে,কৃষকেরা খড় গোছাচ্ছে,
রাখালীরা গরু নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে,মাঝিরা নৌকা ঘাটে ফিরাচ্ছে।
গাঁয়ের বধূরা রান্না-বান্না করে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরছে।
বসে আছে প্রিয়জনের জন্য কখন আসবে সে।।
ফোটা-ফোটা জল পড়ছে আকাশ থেকে,
ভিজছে উঠোন,ভিজছে ঘরের চাউনি,
ধরণীকে করছে সুন্দর, করেছে পরিষ্কার।
দুলছে বাঁশের ঝাড়,উঠছে ঢেউ নদীতে,
সকলে বসে রয়েছে ঘরেতে।
গল্প গুজবে মেতে রয়েছে সকলে,
কেউ করছে গান,কেউ বাজাচ্ছে বাঁশি,কেউবা করছে ভূতের গল্প,কেউবা লিখছে কাহিনী।
সকলে মিলিত হল বাহিরের ঘরে,
ছোট বড় একসাথে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে শুনছে একে অপরের কথা,
এইভাবে দিনটি কাটছে বেশ আনন্দে ভরা।
গাঁয়ের মেয়েরা কাঁথায় তুলছে রঙ-বেরঙের নকশী,
তারই মধ্যে লুকায়িত আছে তাদের স্বপ্নখানি।
মনের আনন্দে তুলছে তারা প্রিয়জনের প্রিয় নকশা
কাঁথার প্রতিটি সূচের ফলাই রয়েছে তারই সাহ্মী।
বাদলের ধারা ঝরঝর করে পড়ছে আমের বাগানে,কিশোর-কিশোরীরা আম কুড়াতে যাচ্ছে সবাই সেখানে।
এমন বর্ষাস্নাত দিনে সকলের সাথে মন যেন চায় থাকতে,
প্রিয়জনের সাথে থাকার আকুলতা বেড়ে যায় বেশি এই দিনে।