আমার কাছে আইজ কোনো কবিতা নাই
তোমারে কী দিমু? কী লইবা কও?
ওহহো! আওনের সময় তোমার লাইগা মনে কইরা
এট্টা লাল টক্টইক্কা জবা লইয়া আইছি।
শিমুল গো বাড়ির গাছ থেইকা নিজের হাতে ছিঁড়া আনছি।
আগে কোনোদিন ফুল ছিঁড়ি নাই তো
তাই কেমন যেন লাগতাছিল, অহন ঠিক হইয়া গ্যাছে।
ধরো, খোপায় গুইজা দিতে কইয়ো না
আমার জানি কেমন লাগে গো! নিজেই গুইজা লও।
কইলা না কী লইবা?


তোমারে না ভীষণ সুন্দর লাগতাছে,
না না, সুন্দরী লাগতাছে।
মনে কইতাছে তোমার গালটা ধইরা সোহাগ করি।
কী সব কইতাছি, তুমি কিছু কও না ক্যান?
জানো আজ কবিতা আনিনাই ক্যান?
না থাক, সেই কথা পরে কমু।
তুমি আগে কও এমনে ফ্যালফ্যাল কইরা
চাইয়া রইছো ক্যান? কী দ্যাহো?
বুঝছি,
ভাবতাছো আমার কী হইলো আইজ, তাইনা?


আমি অহন থেইকা কবিতা লেখুম না,
কেউ পড়তে চায় না, তুমি একলাই পড়তা
তুমি চইলা গ্যালে কবিতা লেখমু কার লাইগা!
তুমি আবার ভাইবো না আমি মন খারাপ করছি।
আর তুমি তো কইছো, আমার সব কথাই
তোমার কাছে কবিতা মনে হয়। তয় আর খালি খালি
কাগজ কলম অপচয় করমু ক্যান? কবিতা কমু,
অহন থেইকা আমি কবিতা লেখমু না,
তুমি আমার কবিতা, আইজ তোমার বিদায়।
কইলা না কী লইবা?
বরযাত্রী আইসা পড়লো তো!



ভাষার ব্যবহারে হয়ত অনেক ভুল আছে। এটা কোন অঞ্চলের ভাষা বা কতগুলো আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ তা জানিনা। আমি তো কবি নই। আমার সবই তো অ-কবিতা, তাই এভাবে লেখাটাকে বিশেষ অপরাধ মনে হলো না।