সংকীর্ণ গলি পথে-
আনাগোনা অবরুদ্ধ করো এবার!
টলমলে চেতনার দলাদলিতে
বিফলে যায়-
এ মুক্ত স্বর্গের মাটি পলে পলে!
এগিয়ে চলার পথে এখনো দাড়িয়ে-
পান্ডু কুয়াশায় ঢাকা দুর্লঙ্ঘ্য শৈল-
মুক্তির দিন থেকে গড়লে দলে দলে।
ক্ষোভ-ক্রোধ আর পুঞ্জীভূত রক্ত-
লাভার স্ফুটনে;
গুরুগম্ভীর ভ্রুকুটি উচ্চে তোলে মাথা!
বলির রক্তে এই বহুমূল্য মাটি;
তাতে লাঞ্ছিত রক্তে অর্ঘ্য সাজাও!
চেয়ে দেখ সবকিছুই রয়েছে
তবুও তো কেউই  নেই !
কালো পথে চলতে চলতে-
স্খলিত পদসঞ্চারে
পৌছে গেছ এক কালো দেশে।
অন্ধকার চারি ধারে!
হঠাৎ আকাশ থেকে নেমে আসে দীর্ঘশ্বাস!
কালবৈশাখীর বেগে দমফাটানো হাহাকার!
কান্নার রোলে শঙ্খের তীব্রতায় ।
কর্ণছত্র ফেটে যায়;
পৌছে যায় এক নির্মম জগতে।
আর সেই কৃষক ;
তার ঘরে যে আজ নবান্ন!
কারন, সে যে -
রক্ত-মাটি-মায়ে
ছেয়ে ফেলেছে সোনালী ধানের অর্ঘ্যে ।।