কাগজ কলম নিয়ে
বসে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা ।
কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও লিখতে পারিনা
দু’লাইন কবিতা ।
কখনো খানিকটা লিখলেও
কবিদের সভায় নিতান্তই হাস্যকর হবে ভেবে ,
দলা পাকিয়ে ফেলে দেই ওটা ।
দিস্তার পর দিস্তা কাগজ আর
ডজন ডজন কলম শেষ করে
ঠোঁটে চিমটি কেটে মাথার চুল ছিঁড়ে
বের করতে পারিনা একটি মাত্র কবিতা ।
এইতো মাত্র ক’দিন পরেই একুশের বইমেলা
এবার একটি কবিতার বই প্রকাশ না করলেই নয় ।
কিন্তু আমার কলম যে থেমে যায় বারবার ।
কেন ? কেন এমন হয় ?
রবীন্দ্রনাথ নজরুল নাকি ,
কলম ধরলেই লেখা হয়ে যেত
একেকটা কবিতা সেকি !
যদি হত আমার মত ,
শুধু গীতাঞ্জলি লিখতেই
রবীন্দ্রনাথের চলে যেত
সারাটা জীবন হয়তো ,
কিংবা পুনঃজন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীতে এসে
শেষ করতে হত ওটা ।
কিন্তু তাঁদের বেলায় হয়নি তা
আমার বেলা হচ্ছে বারবার ।
আকাশ – বাতাস , সাগর – নদী , চাঁদ – তারার কাছে
হাজার অনুনয় ,বিনয় , ভিক্ষা চেয়েও
পাইনা এতটুকু কাব্য ।
অথচ সেদিন যখন তুমি ,
এসেছিলে আমার কাছে
আমার মাথার মধ্যে ভীড় করছিল ,
কতশত কাব্য
কবিদের মনই এরূপ
লিখে না রাখলে হাজার চেষ্টা করে ,
সেটা মনে হয়না পরে ।
কিন্তু আমি খাতা কলম বের করে ,
লিখে রাখিনি কবিতার পঙতিগুলো ।
কবিতার চেয়ে দামি এই সময়টুকু ,
আমি নষ্ট করতে পারিনি ।
প্রেয়সী আমার ,
আমি তোমার জন্য
কবিতা বিসর্জন দিয়েছি ।