কালবৈশাখী তুই কতই না পাষন্ড
সবকিছু করে গেলি লন্ডভন্ড
ক্ষেতের ফসল , ঘরবাড়ি আর গাছগাছালি
ভেঙ্গে দিলি ঘর ছিল যত জোড়াতালি
পশু-পাখির লাশ উঠোনের কোনায়
শূন্য গোয়াল দেখে চাষী দুঃখে বুক চাপড়ায়
ক্রন্দন আর করুণ বিলাপ আকাশে বাতাসে
কালবৈশাখী তুই বড় নিষ্ঠুর আর সর্বনেশে ।
ও পাড়ার তপুর মা ভিক্ষা করে কাটত যার দিন,
তোর আঘাতে গায়ের উপর পড়ল চালের টিন ।
গভীর রাতে ঘুমের মাঝে শুনে তার চিৎকার,
গ্রামের সবাই দেখল ছুটিয়া বুড়ি যে নেই আর ।
কেউ ছিলনা একূলে বুড়ির একটা ছেলে ছাড়া,
সেই ছেলেটারে কতে গেলি তুই এতিম বাঁধনহারা ।
কিইবা এমন বয়স ওর হবে বছর দশ,
জীবনটা কি বুঝে উঠবার হয়নি এখনো বয়স ।
এই বয়সেই পড়ল কাধে দুনিয়াদারির ভার
মায়ের কবরের পাশে কেঁদে চোখের জলে একাকার ।
সারাটা দিন কাঁদল ছেলেটি অজ্ঞান হল বারবার
দুঃখের আগুনে বুঝি বুকটা পুড়ে ছারখার ।
কালবৈশাখী তুই কি শুধু কাঁদাতেই জানিস ?
অবুঝ শিশুর বুকে কেন এভাবে আঘাত হানিস ?
কালবৈশাখী চেয়ে দেখ ছেলেটার চোখে এখনো জল ।
পশ্চিমাকাশে সূর্যটা বুঝি গেল অস্তাচল ।