একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম-
হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে যারা মাটিতে বুকের রক্ত ঢেলে
ধরিত্রীর বুক চিরে স্বর্ণ শস্য  ফলায়,
উৎপাদন করে লজ্জা নিবারণের বস্ত্র ।
যারা দিন হতে দিনান্তরে, কাল হতে কালান্তরে
সভ্যতার ইমারত গড়ে-
যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শত সাম্রাজ্যের
চালিকাশক্তিরূপে কাজ করে,
তাদের কথাই লিখতে চেয়েছিলাম।

একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম-
যারা আধবেলা খেয়ে জীবন কাটায় নিষ্ঠুর এ ধরণী মাঝে,
যাদের পরনে থাকে জীর্ণ শার্ট, চোখে মুখে সরলতার অভিব্যক্তি।
যারা দরিদ্রতার কশাঘাতে জর্জরিত, নিপীড়িত ও লাঞ্ছিত,
সভ্যতার উৎকর্ষে শোষিত, বঞ্চিত ও অবহেলিত যাদের জীবন-
তাদের কথাই লিখতে চেয়েছিলাম।


একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম-
যেথায় জীবন বড়ই বেদনা-বিধুর,সীমাহীন দুঃস্বপ্নের ন্যয়,
দিন যাদের কাটে ছাদহীন খোলা আকাশের নিচে।
শ্বাপদসংকুল ধরণীকে যারা বাসযোগ্য করে গড়ে,
শত সাম্রাজ্যের ভগ্নশেষ ’পরে যারা কাজ করে-
তাদের কথাই লিখতে চেয়েছিলাম