কিছু সুখ নিয়ে ছুটে যাচ্ছি অনেক দূরে,
খুব সম্ভবত স্বর্গ নামক ঐ শেকলের দিকে,
যেখানে দেবতারা মদের আসর বসিয়েছে
সে মদের নির্জাস পৌঁছে গেছে নরক পর্যন্ত;
নরকের দূর্ভাগা বাসিন্দারা নেশাগ্রস্ত পড়ে আছে!
আর আমি ছুটে যাচ্ছি অর্জিত সমস্ত সুখ নিয়ে।


এই অনন্ত ছুটে চলায়
একবার ভুলক্রমে চলে গিয়েছিলাম ওয়াল স্ট্রিটে ,
দুপাশের সুদীর্ঘ ইমারত ভরে আছে ঘৃনায়,তবু
আমাদের বস্তুবাদী প্রেমই চড়ামূল্যের শেয়ার!
মনে আছে,দালাল নামক একদল শেয়াল
কিভাবে পিছু নিয়েছিল আমার সুখের সওদা করতে,
ছুটে পালিয়েছিলাম এই কসাইখানার দুর্গন্ধ থেকে।


নরওয়ের এক বলিদান উৎসবে কিছু বর্বরকে দেখেছিলাম,
ভ্যানগর্গের চিত্রকর্মের মতো চিরদুখী তাদের জীবন।
শয়তানের সন্তোষের জন্য উৎসর্গ করে চলেছে নিজেকে,
তাদের উন্মাদ নৃত্যের গ্রাস থেকে কোনমতে মুক্তি পেয়েছিলাম।
আর ফিরে দেখা হয় নি!


আফ্রিকান হাড্ডিসার শিশুগুলোকে দেখেই
মনে হয়েছিলো গিলে খাবে আমার সমস্ত সুখ!
যথাসম্ভব নিরাপদে সরে এসেছিলাম ঐসব পাকস্থলীর চোখ থেকে,আপাদমস্তক গ্রাস থেকে।


ঈশ্বর থেকে শয়তান,
উলঙ্গ থেকে কর্পোরেট,
নরকের অন্ধকার থেকে স্বপ্নের স্বর্গ অথবা  
এই নির্জন জঙ্গল বা নির্মম শহর,সব চষে চলেছি—
এই ছুটেচলার তবু কোন শেষ নেই,
অর্জিত সকল সুখ মূলত স্মৃতির ক্ষত।


আর হৃদয় এক আজন্ম স্পার্টান,
যুদ্ধ আর আত্মবিসর্জনই যার একমাত্র লক্ষ্য!