আমার কপালের ভাঁজে ভাঁজে উপচে পড়া তরঙ্গের দাগ মাঝে
সমুদ্র খুঁজতে যেও না কেউ; দূর হতে
সাহারাও বাসন্তী জলরাশি বোধ হয়; কাছে এসে আঁজলায়
খুঁচে দেখ, অবারিত বালুরাশিই পাবে;
নিরবে নির্বিঘ্ন লোনা জল নয়
তপ্ত হাওয়াতেই যার অতৃপ্ত আশ্রয়।


হয়তবা বহির্ভূতে
কোন ফেনিল ইন্দ্রনীলই ছায়াছবি হত
সে ললাটে,
ব্যাপ্ত বেলাভূম
উদাত্ত আহ্বানে চুমে যেত বারেবার
ছুঁয়ে যেত পারাবারে, বারেবারে
গাংচিল ডানা মেলে উড়ে যেত
অনন্ত কুয়াশার অন্তরালে;


আজ বিষুবীয় নিরাবেগি মূর্ত তল্লাটে
আহরিত জল যত ছিল অশ্রু
জলের মত শব্দবহে চলে গেছে, মিলে গেছে।
অবশেষে জলকেলি কিশোরীর এলো
চুলে নয়, উটের পালকে জমে কিছু আশ্রয়।


একটি © মেহেদী রবিন রচনা।


প্রথম প্রকাশঃ ১৬/০৮/২০১৬ সময়ঃ দুপুর ১২ টা ০৭ মিনিট।