যখন আমার দাদি ছিল সোনালী সে দিনগুলো সুন্দর কেটেছে
আমি হাত ধরে  হেঁটেছি দাদি আমাকে তখন সঙ্গ দিয়েছে;
আমি বায়না ধরেছি দাদি আমাকে কোলে তুলে নিয়েছে
আমি কান্না করেছি দাদি আমাকে তখন শান্ত করেছে।


যখন আমার দাদি ছিল আকাশের তারাগুলো গোনা হয়েছিল
তখন আমি জানতাম না আকাশের তারা গোনে যে শেষ হবে না;
আমি দাদিকে প্রশ্ন করতাম;আকাশের তারকা নিচে পড়ে না কেন?
অদ্ভুত সব প্রশ্ন শুনেও আমার দাদু কখনো বিরক্ত হতো না।


যখন আমার দাদি ছিল পাখিদের মিষ্টি গান শোনা হয়েছিল
আমার দাদি উঠতো মিনারের সুর বাজে ভোর বিহানেতে;
হারিকেন হাতে সঙ্গ দিতাম দাদি যখন ওযু করতো,
কুকিলের সাথে সুর মিলাতাম  দাদি তখন দেখে হাসতো।


যখন আমার দাদি ছিল ভোর প্রভাতে মক্তবে যাওয়া হয়েছিল
সকাল বেলায় যখন সবাই মন খুশিতে খেলে বেড়ায়;
দাদি তখন ডাক দিয়ে বলতো খেলাধুলা ছেড়ে নাস্তা করতে আসো
কায়দা হাতে বলতো আমায়, যাও! মক্তবে যাও ঐ পাড়ায়।


যখন আমার দাদি ছিল পুকুরে লাল শাপলা ফুল ফুটেছিল
তখন আমি সাঁতার জানতাম না তবুও শাপলা ফুল আমার হাতে থাকতো;
পুকুর থেকে লাল শাপলা গুলো দাদি তুলে নিয়ে আসতো
আমি বুঝতাম আমার দাদি আমাকে খুব ভালোবাসতো।


সবই আছে আগের মতো মানুষজন আর কোলাহল
বড় হচ্ছি, দিন যাচ্ছে  ক্ষণিকের এই মায়া মহল;
স্মৃতির পাতার স্মারক হয়েছে তোমার রেখে যাওয়া সেই স্মৃতি বহর
তুমি দাদি আপন ছিলে, বেঁচে থাকলে এখনও করতে আমার কদর।