কে এই পিশাচ তার হাত খানি কি তখন তার পশুর নিয়ন্ত্রণে ছিল? বিবেক কি ঘুমন্ত ছিল? মুখের চারদিকে কালো ছায়া অন্ধকার লিপ্ত একখানা আঁকা ছবি। যেন কিছু একটা বলতে চাই সে।এক দল মানুষ আছে যারা খনন কৃত নদী নালা ভরাট করছে। আবার আরেক দল মানুষ আছে যারা মানুষের বিন্দু বিন্দু করে গড়ে তোলা শিশির মতো আয়ুর জীবনে চুরি হাতে খনন করে।
থানার পুলিশ এলো লাশ নিয়ে চলে গেল।আজ এই ঘটনা সাক্ষী হয়ে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।কেন সে খুনি অন্যের আয়ুর নদী বন্ধ করে নিজের আয়ুর স্রোত চলবে।আইন আর কি বলবে এই ধরাছোঁয়ার বাইরে সে খুনি।কবরে লাশ হয়তোবা গলে গেছে হয়তোবা কিন্তু সে খুনি এখনো তরতাজ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নাহ এটার একটা গোয়েন্দা করতে হবে!
সর্ব সময় সে ঘটনার উপলব্ধি করাতে বাধ্য করেছে আমার মন।কে সে আমার তো রক্তের সম্পর্কের কেউ না। এই আমি কি বলি রক্ত সব চেয়ে বড় সমর্পক বিবেকের।
আমি বেড়িয়ে পড়লাম পাশের গ্রামে। এই ঘটনা তদন্ত করার জন্য।প্রথমে লাশ টির সম্পর্ক খুঁজ নিলাম। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথা তার নাম অজানা সবার কাছে কোথা হতে এসেছে এই অচেনা মানুষ।সর্ব সময় ক্লান্ত মন আমার পিপাসুর মতো সে খুনি কে গ্রেফতার করতে আমার মনের ভিতরে বিবেক গোয়েন্দা করতে আগ্রহী যেন সে ডিগ্রী নিয়ে বসে আছে। আমার মাথায় প্রচন্ড গবেষণা করার পর মনে পড়ে সেদিন সে মাঠে একখানা কাপড় পেয়েছিলাম যেখানে স্বেচ্ছ্বেতে তরল জাতীয় পদার্থ কিছু যেন লেগেছিল সেই রাতের আঁধারে কিছুই তো দেখতে পেলাম না যায় ওখানে একটু গিয়ে দেখে আসি।
আবার হাঁটতে লাগলাম এমন সময় এক জন লোক এসে বলে ভাই আপনি এই অবেলায় মাঠে কি করেন জানেন না।এই গ্রামে একজন অচেনা মানুষের খুন হয়েছে কি জানে সে খুনি ওত পেতে বসে আছে কোন এক জায়গায়। এখন গ্রামে হাটা চলা করা ভালো না বিশেষ করে একলা।
কি অদ্ভুত মুখ টি ভালো মতো দেখা যায় না।ঠিক মনে হলো এই গহীন গুহার ভেতর থেকে ধ্বনি এসে কানে আঘাত দেয় এমনি অবস্থা।এই বলে সে চলে গেল।আমি ও একটু মনে মনে ভয় পেয়ে উঠি।তাই শশুর বাড়িতে চলে এলাম। রাতের বেলায় বউ জিজ্ঞেস করে , কি এমন হলো গো তোমার এই কই দিন ধরে বিষণ্ণ হয়ে থাকে তোমার মুখ শুধু চিন্তা মগ্ন থাকো।আমি কিন্তু থাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বলি আরে বেশ কয়েকটা দিন হয়ে গেল শহরের কথা মনে পড়ছে তাই হয়তোবা এমন লাগছে।রাতে প্রচন্ড ঘুম চলে আসে। হঠাৎ রাতে চোখ খুলে যায় কপাল হতে গরম পানির মতো বাষ্প হতে পড়ছে পানি ঠিক সেরকম আমার কপাল হতে পড়িল।কহিলেশ কি হলো গো এমন করে মাঝ রাতে উঠে হাঁফাতে লাগলে কেন?আরে নাহ কিছু হয়নি। আমার এখন ঘুম আসছে না।কি দেখলাম এটি?আমি গহিন কালো চাদর এক ঘাসের উপর মাড়িয়ে চললাম।হাতে এক শিশির বোতল তরল জাতীয় কিছু একটা। কিছু দূর হাঁটাহাঁটি করি আর পায়ের নিচে কলিজার মতো নরম জিনিস উপর দাঁড়িয়ে আছি।কলিজা হতে উচ্চ ধ্বনি।
কি হতে পারে এর ব্যাখ্যা।কালোর চাদরের বুকে আধখানা চাঁদ ঢলে পড়ে আছে।তার অর্ধ আলোতে সেই মাঠের হালকা সবুজ ঘাস কালোর আঁধারে নিমজ্জিত লাগে। কিছু চিন্তা না করে আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
এক নতুন সকালে আবাস।হাতে এক কাপ চা তার উপর আমার চিন্তায় ভরা মুখ প্রতিচ্ছবি ভেসে চলে সে চায়ের ছোট পুকুরে।এক টানে খেয়ে উঠলাম গদি থেকে। কহিলেশ আমার সাদা কাপড় টি নিয়ে আসো।এই কি কাপড়ের এই কি অবস্থা করেছো।আমি কি জানি তুমি যেমন এনেছিল ঠিক তেমনি তো পেকেটে ছিল।না এই টা তোমার কাজ হয়তোবা তুমি পুকুরে ধৌয়ার সময় ছিঁড়ে ফেলেছো।আমি তো তোমার পুরান কাপড় গুলো ধৌয়ে ছিলাম। কিন্তু এটা নি নাই মনে আছে আমার।তাও হতে পারে ভুলে গিয়েছি হয়তোবা। কিন্তু ছিঁড়েছে কেমনে জানি না। আচ্ছা বাদ দাও আমার অন্য কাপড় টা দাও স্কুলের দিকে ঘুরে আসি।
মাঠের পাশে কাঁচা রাস্তা যেন এক বর্ষা এসে নেচে গিয়েছে। অনেক দূর হাঁটার পর স্কুল পাশে এলাম।কি আশ্চর্য সে আগের মতো যখন কহিলেশ কে বিয়ে করলাম তখন সে বললো দেখো এটি আমার শৈশবের পড়ুয়া স্কুল।আজও ঠিক তেমন কোনো উন্নতি নেই।তখন হঠাৎ পিছন থেকে একজন কাঁধে হাত দিয়ে বলে কে আপনি। এলাকায় নতুন মনে হচ্ছে।আমি ওমনি বললাম হ্যা।আমি জহিদান মেয়ের জামাই।ওহ আচ্ছা তো কেমন আছেন। এখানে যে হঠাৎ? না এমনি ঘুরতে বাহির হলাম।এই বলে অনেক ক্ষন কথা বললাম তারপর সন্ধ্যা হবার আগে রওয়ানা দিতে ভুলে যাওয়া হলো।তখন তাড়াতাড়ি চলে আসতে লাগলাম।তখন অনেক দূর হাঁটার পর একটি কাপড় সে মাঠে আবার পড়ে থাকতে দেখি।আরে এটি সে কাপড় টি যেটি এখানে আসার সময় পেয়েছিলাম না।সামনে গিয়ে সেটি হাতে নিয়ে দেখি সাদা কাপড় টি যেন কিছু একটা কালো রঙের তরল পাথর হয়ে অঙ্কিত হয়ে গিয়েছে।আরে হালকা মাথায় জোর দিতে মনে পড়ে এটি তো সে কাপড় না যেটি