উড়তে চেয়েছি আরও বহুদূর,যেখানে পৌঁছোয় না দুঃখ।
পথে থেমেছি নদীর স্রোতে,যেখানে কান্নায় ভেসে গেছে সাম্রাজ্য।
হৃদয়ের খুব কাছ ঘেষে বয়ে গেছে রাস্তাটা,সোজা অচেনা স্টেশন,
রেলগাড়িটাও সেতু পেরোতে ভয় পায় আজকাল।
টাইমসের শিরোনামে আহাজারি ভরা পৃথিবীর সংবাদ।
ঘরের কোণে শালিক ছানাগুলো ভয় পায় না তবুও,
ছোট ছোট দুঃখের স্রোতে নৌকাটা কূল পায় না,
জীবনের প্রতিটা মোড় পেরোতেই হিমশিম খায় রাতের মেইল।
বেঁচে আছি স্বপ্ন নিয়ে, বাস্তব নিয়ে, অবাস্তব নিয়ে,
কেউ জানেনা, নাহহহ কেউ একদমই জানেনা সে রাত,
একা রাতে শত তারার মেলায় খুঁজি কাকে?
যার জন্য স্বপ্ন হাতে নিয়ে, বুকে লড়ে গেছি রোজ।
চিলেকোঠার শিকল ভেঙে আস্তানা গেড়েছি লুকানোর।
ভয় পাওয়া কপাল রোজ রাতে তোমার চুম্বন খোঁজে,
পাহাড়ের মাঝখানে অন্ধকার সমতলে কাঁদতে ইচ্ছে করে,
তবুও ঘুরে দাঁড়াই,দু হাত মেলে বাতাসের স্বাদ নিয়ে,
বেপরোয়া কোন ইচ্ছে নিয়ে ছুটে যাই দিগন্তরেখা ধেয়ে,
তুমি তো পাশেই আছো,বাতাসের বেগেও তোমার অস্তিত্ব।
এক পশলা বৃষ্টির ফোঁটাগুলোতেও তোমার অস্তিত্ব।
কাঁচের দেয়াল,কোথাও একটা হাতুর অপেক্ষায় ভেঙে ফেলার।
আমি রুপকথা তৈরি করতে এ পথে কখনো আসিনি,
বাস্তবতা আঁকড়ে ধরে শুধু এক চিলতে রোদ চেয়েছি।
দূরের ওই মেঘেদের কখনো কাছে চেয়েছি কিনা জানিনা।
ওরা তো নিজেরাই কাছে এসে ঝুম বৃষ্টি নামিয়েছে।
একদিন সবকটা চুলের গোড়া সাদা অংশে ঢেকে যাবে,
তখনো কি চামড়ায় প্রতিটা ভাজে কোথাও আমায় খুঁজবে?