কি দেখিলাম আমি আহা কি দেখিলাম আমি,
আলোর ঢেউয়ে নেচে উঠে সবুজ ধানের ভূমি।
গগন গগন আলোর রোদে সোনায় ছড়াছড়ি,
হেসে হেসে ফুটছে দেখো নতুন ফুলের কুঁড়ি।
যেদিক ফিরে চক্ষু তাকায় যেদিক ফিরে চায়,
নব নব প্রাণের ভাষা শুনতে যদা পায়।
নব নব খুশির জোয়ার ওঠে চারিধারে,
নব নব আবেশ নিয়ে নব অহংকারে।
সবুজ গাছের বনে বনে উঠছে দেখো ক্ষণে ক্ষণে,
ঝিলিক লাগা আলোর খেলা পাতার কোণে কোণে।
গাছে ঘেরা দিঘির জলে পড়ছে গাছের ছায়া,
এ কোন পুলক ক্ষণে ক্ষণে নাচিয়ে উঠে কায়া।
নদীর থেকে গ্রামের বধূ ফিরছে গ্রামের পথে,
ঝন ঝন ঝন নুপুর ধ্বনি বেজে বেজে ওঠে।
ফিরে ফিরে চায় যে তারা ঘুরে ঘুরে হাসে,
যেমন হাসি উঠে মেতে আলো মাখা কাশে।
যেমন হাসি যায় যে দেখা তারার মাঝে একা একা,
যেমন হাসি ছুটে চলে নদীর সাথে হয়ে সখা।
গুড় গুড় গুড় মেঘের ধ্বনি বন্ধ চোখে একাই শুনি,
আয় আয় আয় বুকের পরে বৃষ্টি রাশি আকাশ-মনি।
ধুইয়ে দে রে নতুন করে মাতিয়ে দে মন,
মিটিয়ে দে যুগের তৃষা নাম ছিল যার জীবন।
চাওয়া পাওয়ার হিসেব গুলো ভুলিয়ে দে রে আজ,
ভিজিয়ে দে রে ভিজিয়ে দে রে ভিজতে নাহি লাজ।
যেমন করে ভিজে পাতা,ভিজে গাছের ফুল,
যেমন করে ভিজে ওরে ভরা নদীর কূল।
আজ যে আমি তাদের সাথে মিশে যেতে চাই,
পৃথিবীতরুর একটি পাতা আমিও যেন ভাই।
শান্তিতে আজ দুলছি শুধু নয়ন দিয়ে গিলছি মধু,
এ রূপের কোন হয়না তুলনা ওরে ও রূপের বধূ।
শত খুশির জোয়ার-ভাটা শত দিক থেকে,
প্রতিনিয়ত আসছে ছুটে যদা এঁকেবেঁকে।
কুণ্ঠিত মন অবোধ বড়ো বুঝতে পারেনি এতদিন,
শত ধনে ধনী হয়ে ভাবতো নিজেকে শুধু দীন।
উঠরে নেচে অবোধ মন উঠরে নেচে আজ,
দেখে রে চেয়ে নয়ন খুলে এই ধরণীর সাজ।
পদ্ম জলে দুলছে কেমন শান্তিতে প্রাণ খুলে,
মেঘের সাথে মেঘের মিলন জলের তালে তালে।
নদীর জলে উঠছে ঢেউ বাহির-পানে নাই যে কেউ,
ভিজা পথে ভিজা কুকুর একলা ডাকে ঘেউ ঘেউ।
সন্ধ্যা রেখা যায় যে দেখা গগন করে অন্ধকার,
নতুন সুরে উঠে মেতে আবার যেন চারিধার।
শেষ নেই এর আদি থেকে বইতে থাকে আপন বেগে,
প্রতিনিয়ত নতুন ভাবে নতুন রূপে উঠে জেগে।