ছোট গ্রাম নদী পাশে নয় চেনাজানা,
কিছু আছে ছোট বাড়ি কিছু মুদিখানা।
কাদা পথ ছোটখাটো অতি পুরাতন,
দুই ধারে মহুয়ার,পলাশের বন।
সভ্যতার কোন রস নেই এই গ্রামে,
সময়ের স্রোত যেন গিয়েছে থেমে!
ঘন নয় অতি কম মানুষের বাস,
কেউ কেউ মাছ ধরে,কেউ করে চাষ।
সেই গ্রামে একদিন শহরের থেকে,
এলেন এক ডাক্তার সভ্যতা মেখে।
উঠে ছিল ভূত তার, পরোপকার;
গ্রাম মুখে খোলা হল ছোট চেম্বার।
দিনরাত সেবা করে,ভিড় করে লোকে,
ছোট ছেলে উঁকি মেরে চেয়ে চেয়ে দেখে।
এক মেয়ে রাখিলেন করে দিতে কাজ,
মহুয়ার ফুল পড়ে মায়া মায়া সাজ।
দিনগুলো চলে যায় রোগী সেবা করে,
কত লোক বেঁচে যায় কত লোক মরে।
এই ভাবে দিন যায়,মন চায় কিছু,
মেয়েটির কাজ দেখে বাবু পিছু পিছু।
ফুটিলো নতুন পাতা পলাশের বনে,
বসন্তের প্রথম প্রেম উঁকি দিল মনে।
রোগী সেবা কমে গেল,নদী দিল পাড়ি;
মেয়েটির ছোট হাত ছোট বুকে ধরি।
এইভাবে দিন যায় চলে যায় মাস,
নদী পাশে ভিড় করে ফুটে কত কাশ।
সময়েরা চলে যায় গড়ে যায় মন।
শহরের আদি সুখ টানে প্রতি ক্ষণ।
ফিরিবার কথা দিয়ে বাবু যায় চলে,
বরফের জন্মই গলে যাবে বলে!
মেয়েটি কেঁদে যায় একা মনে মনে,
ঝরা পাতা ঝরে যায় পলাশের বনে।
সবকিছু শুরু হয় সবকিছু শেষ,
নিয়তির খাতাতে রয়ে যায় রেশ!