রাস্তা জুড়ে , বাঁশের ওপর বাঁশ সাজিয়ে গড়ে উঠছে মণ্ডপ
চারদিক অগোছালো , সংকীর্ণ হয়ে গেছে রাস্তাটা
দ্রুত পার হচ্ছিলাম জায়গাটা ; আচমকা শাড়ীর আঁচলে টান,  থমকে গেলাম  ;
পেছনে দেখি  সেই মেয়েটি , যাকে যেতে আসতে দেখি
বসে আছে ফুটপাথের কোণে , পার্কের ধারে  ।
কিন্তু এ কী !!!!!!!!  আজ জ্বলন্ত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
সে দৃষ্টি যেন সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে ,
তাকিয়ে থাকতে পারলাম না , চোখ সরিয়ে জানতে চাইলাম কি চাই ?
সে বলল –“ খুব তো দুগগা পূজা করো ,
দাও দেখি একখান অস্তর ।
চমকে উঠে বলি , কেন ?
গর্জে উঠলো –তোমাদের দুগগা অসুর বধ করে পূজা পায়
সবাই ধন্যি ধন্যি করে ,
আর রাতের  আঁধারে যে অসুরেরা আমাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে খায়
তাদের কে বধ করবে ?  আমার হাতে অস্তর তুলে দাও ,
আমিও অসুর বধ করে তোমাদের পূজা পেতে চাই।
দেবে আমায় ? দাও না  গো ......
আমিও একবার দুগগা হোতে  চাই  ।।