আমি জানি এই কবিতার আসরে কবিতা ছাড়া অন্য কিছু লেখা উচিত নয় তবুও আমি লিখলাম কারণ আমার সতীর্থদের সাথে কথা বলার আর কোন সুযোগ নেই তাই এ কাজ আমি করলাম ।


এডমিন আমায় মাফ করবেন...



আজ সকালে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে খবরের কাগজ খুলতেই যে খবরটি প্রথম নজরে পড়ল তা এইরকম ...


হাজার মোমের আলো আর স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে সে দিন দেশের ‘বিবেক’ যে জাগে নি তা প্রমাণিত হল নতুন এক জাতীয় লজ্জায় । পাঁচ বছরের একটি মেয়ের ওপর নারকীয় অত্যাচার ফিরিয়ে আনল দিল্লী গণ ধর্ষণের ভয়াল স্মৃতি । আপাতত এই শিশু মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে । ধর্ষক ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয় নি , নিগ্রহের পর তার যৌনাঙ্গে মোমবাতি ও বোতলও ঢুকিয়ে দেয় তার ফলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার যৌনাঙ্গ ...  


মেয়েটির গোপনাঙ্গ  থেকে একটি ২০০ মিলিলিটারের বোতল এবং মোমবাতির টুকরো বের করা হয়েছে।
-----------------------------------------------


আপনাদের সাথে আমি আমার আনন্দ দুঃখ হাসি কান্না সব ভাগ করে নিতে আসি তাই আজ এই খবরটিও আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে এলাম । খবরটি পড়ে বুকটা কি একটুও কেঁপে উঠলো নিজের সন্তানের মুখ মনে করে অথবা সেই অসহায় শিশুটির যন্ত্রণা কি একটুও অনুভব করলেন আপনারা ?


আমি করেছি , আর রাগে ঘৃণায় মনে হয়েছে এ কোন সমাজে বাস করি আমরা ! যেখানে ৫ বছরের শিশুও বাদ যায় না । এই ছোট্ট শিশুটাকে ধর্ষণ করে কতটুকু আনন্দ সে পেল ? আর যারা সমাজের রক্ষাকর্তা তারা বলেন অশ্লীল পোশাক পরে যৌন সুড়সুড়ি দিলে ধর্ষণ তো হবেই। তারা এখন কি বলছেন ? ৫ বছরের শিশু কতটা অশ্লীল পোশাক পড়তে পারে যে সেই সব পুরুষরা উত্তেজিত হয়ে ধর্ষণ করতে বাধ্য হয় ! আমায় বলুন , অনুগ্রহ করে আমায় বলুন।  


আমি নারী তাই বারবার অনুভব করেছি সেই শিশুটির যন্ত্রণা । যে শিশুটির মুখে নিষ্পাপ হাসি থাকার কথা আজ সে কি নিদারুণ যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। আর কতদিন ! আর কতদিন এমন অত্যাচার চলতে থাকবে?  সেই শিশুটির আর্ত চিৎকারও কি আমাদের ঘুম ভাঙাবে না ?


আমি আগেও বলেছি আবারও বলবো , ফাঁসি নয় , যাবজ্জীবন নয় , এদের জন্য ক্ষমা শব্দ উঠিয়ে দেওয়া হোক  অভিধান থেকে । যে পুরুষাঙ্গের জোরে তারা ৫ বছরের শিশুকেও বাঁচতে দেয় না তাদের সেই জোর শরীর থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হোক । জানি সবাই আমায় ছিঃ ছিঃ  করে উঠবেন , উঠুন । একবার ভেবে দেখুন সেই ছোট্ট মেয়েটা কোন অপরাধ না করেও কি অসহনীয় যন্ত্রণা পাচ্ছে আর সেই ধর্ষক সমাজের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে !


আর সেই সব পুরুষদের বলি যারা আমাদের ‘মেয়েছেলে’ বা ‘মেয়েমানুষ’ বলে আখ্যা দেন । না, দেবেন না । অনুগ্রহ করে আমাদের মানুষ ভাবুন । আমাদেরও কষ্ট হয়, যন্ত্রণা হয় , সেটা অনুভব করুন।


আজ আমার মন ভালো নেই। আপনাদের কি মন ভালো আছে ? যদি না থাকে তবে একবার সেই মেয়েটির জন্য প্রার্থনা করুন আর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।