চারদিকে ভাঙা কাঁচের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিল
মুহূর্তে জরায়ু ছিন্নভিন্ন হয়ে রক্তের স্রোত  
ভিজে যাচ্ছি আমি ...


ঠিক এই অনুভূতিটাই পাঁচ দিন ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে
আমিই সেই গুড়িয়ার দুর্ভাগা মা ; যে তার সন্তানকে রক্ষা করতে পারে নি
কেউ বলছে ঘোর কলি , এমনটাই হয়
তাই! তবে সত্যযুগে কি হয়েছিলো মনে করে দ্যাখো মূর্খের দল
যুগে যুগে তোমরাই এসেছো নানান নাম নিয়ে
কখনও দুঃশাসন , দুর্যোধন  কখনও বা ধনঞ্জয়
কিন্তু কেন ? আমার ছোট্ট মেয়েটা তো নারীই হয়ে ওঠে নি এখনও
তবু কেন করলে এমন কাজ !
নরম ফুলের পাপড়িগুলো কেন ছিঁড়ে করলে তছনছ ?


ঈশ্বরে বিশ্বাস আমার শেষ হয়ে গেছে
কোথায় কৃষ্ণ ? তুমি কি কেবলই তোমার সখার আব্রু রক্ষা করতে এসেছিলে ধরায় !
আমার ছোট্ট মেয়েটা তো ঈশ্বর কি তাও জানে না ,
শুধুই যন্ত্রণায় আর্ত চিৎকার করেছে ; সেই আর্তনাদ কেন পৌঁছলো না তোমার কানে ?


আমিই সেই দুর্ভাগা মা যে তার সন্তানকে সুরক্ষা দিতে পারি নি
তার যন্ত্রণার ভাগটাও তো নিতে পারি নি ,
জানি একদিন তুই বড় হয়ে প্রশ্ন তুলবি ,”জন্ম দিতে পেরেছিলে আর রক্ষা করতে পারলে না মা” !
না রে মা , পারি নি ; তাই তোর এই মাকে ক্ষমা করিস ।


আজ আমার পাশে দামিনীর মা , হেতালের মা , আরও কতশত মা
যাদের সন্তানরাও কোনও না কোনও দিন ধর্ষিতা হয়েছে
সমাজ দ্যাখো , সংসার দ্যাখো , প্রশাসন দ্যাখো
আমরাই সেই ধর্ষিতা কন্যাদের মা
একদিন গোটা দেশটাই আমাদের এই মিছিলে ভরে যাবে
আর তোমরা , তোমাদের ব্যর্থতার মুখ ঢাকবে সেই মিছিলের ভিড়ে
আর তারপর ! আবারও চলবে এই ধর্ষণ ...আবারও ... আবারও...