আর ভাল্লাগে না  
এ ভাবে জানোয়ারের জীবন কাটাতে
আর ভাল্লাগে না ।
রোজ রাতে বাড়ী  ফিরে সেই একঘেয়ে
বাবার কাশি সাথে মায়ের চিৎকার ,
করুণ মুখে একরাশ প্রশ্ন চোখে নিয়ে
সামনে এসে দাঁড়ানো শাড়ীতে হলুদের ছোপ
গায়ে রান্নার গন্ধ ; এই কি সেই আমার প্রেমিকা
যাকে দেখে একদিন মুগ্ধ হতাম !


কবিতার খাতা খুলতেই ফিসফিসে শব্দ ভেসে এলো
‘এ মাসের ইলেকট্রিকের বিল বাকি , আবার
আলো জ্বেলে রাতভোর কবিতা’ !
আর ভাল্লাগে না এ জীবন ।


শপিং মলে কাজ করতে করতে আজকাল
চোখ চলে যায় সেই সব মসৃণ ত্বকে যেখানে
হাজার শক্তির আলো পিছলে যায় ; মনে পড়ে
তার সেই নিষ্প্রাণ জৌলুষহীন চেহারাটা
আর তখনই সেই না ভালো লাগাটা
মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ; কেন এই বৈষম্য ?
পৃথিবীর সব সুখ কি এদের দখলেই থাকবে চিরটাকাল !


গভীর রাতে সেই হলুদের ছোপ লাগা শাড়ীতে
রান্নার তেল মশলার গন্ধ মাখানো প্রিয়ার শরীরে
পৃথিবীর সব সুখ খুঁজে নিতে নিতে একসময়
না ভালো লাগা অসুখটা সেরে যেতে থাকে ।