আবারও ফিরে এল সেই পঁচিশে বৈশাখ
যখন সবাই রবি ঠাকুরের জন্মদিন পালনে ব্যস্ত
ঠিক তখনই সেই রক্তাক্ত জায়গাটায় আবার
নতুন করে রক্তক্ষরণ শুরু হয় ।
দশ বছর ধরে সেই একই যন্ত্রণা ;
কি করে ভুলি ? বলতে পারো কি আমার অপরাধ !


সুন্দর করে সাজানো সেই বিয়েবাড়িতে
কনের সাজে আমি নতুন জীবনে প্রবেশের
পুন্যলগ্নের অপেক্ষায় ।
‘বর এসেছে’ খবরটা শুনে এক অন্যরকম অনুভুতি  
সমস্ত শরীরটায় শিহরণ তুলেছিল ; লজ্জা রাঙা মুখে
বিয়ের আসরে এক ঝলক দেখেছিলাম তার মুখটা ।
সদ্য সিঁদুর দান শেষ হয়েছে , এমন সময়
অতর্কিতে কিছু লোক এসে তুলে নিয়ে গেল তাকে
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ।
তারা কারা আর কেনই বা নিয়ে গেলো সেদিনও
যেমন বুঝি নি আজও সেই একই প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গেছে।
থানা পুলিশ সাংবাদিক মন্ত্রীর দরজায় দরজায় ঘোরা
সবই বিফলে গেছে ...


ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর মুক্তিপণের হুমকি এসেছিল
বেশ কিছুদিন পর, কিছুই করা হয় নি ,
শুধুমাত্র একটা ছবিকে সম্বল করে
সিনেমার নায়িকার মতন স্বামীকে খুঁজে
বার করতে পারি নি।
দিন বয়ে গেছে নিজের খেয়ালে ; শুধু
আমার জীবনটাই এলোমেলো হয়ে গেলো


মাঝে মাঝে ভাবি, আমি কে ?
সধবা , বিধবা না কি কুমারী !
আমায় দেখে ফিসফিসানি শুরু হয়
প্রতিবেশীদের চোখে মুখে কারন এমন ঘটনা
রোজ রোজ তো ঘটে না তাই আজ আমি পরিহাসের পাত্রী ।


আমার চেনা জগৎ আমার কাছে এখন অচেনা লাগে
আমি আজ একা , একদম একা
সত্যি বলছি , তার প্রতি কোন ভালো লাগা বা ভালবাসা
গড়ে ওঠে নি আমার ; সে আছে কি নেই তাও জানি না
তার মুখটাও ভালো মনে পড়ে না তবুও তার নামে
সিঁদুর পরে বেঁচে থাকতে হবে !!


কি আসে যায় যদি আর একবার নিজের ইচ্ছে মতন
বাঁচতে চাই , এক্কেবারে নতুন করে...