তখন তুমি বছর ষোল
মালা গাঁথায় মগ্ন ছিলে
দেবালয়টি আলোকিত
রূপের যেন  বহ্নি জ্বলে


হাতের ফুল ঝরেছিল
আনমনা মাথার পরে
শিউরে উঠে তখন তুমি
আমার পানে তাকিয়ে ছিলে...


দুচোখ জুড়ে বিদ্যুৎ হেনে
মাথায় টেনে নিলে আঁচল
কাঁকন পরা হাতের দোলায়
বুকের মাঝে হাজার মাদল


প্রথম দেখায় সেই চোখেতে
লুকিয়ে ছিল সর্বনাশ
পরস্ত্রী জেনেও তবু মনের
মাঝে কিসের আশ !


তোমায় ভালবেসে আমার
শান্তি নেই যে মনে  
ভুলতে চেয়ে তোমায় আমি
হারাই ক্ষণে ক্ষণে


তোমায় ভালবাসার দোষে
পেলাম নির্বাসন
ছাড়তে হল দেশ , গ্রাম আর
নিজের ভদ্রাসন


অনেক ঘুরে এলাম ফিরে
সেই ভালবাসার টানে
খবর পেলাম তুমি এখন
শেষ যাত্রার পানে


এখন তুমি বড্ড একা
মৃত্যুপথ যাত্রী
জানে না কেউ কাটবে কি না
আজকের কাল রাত্রি


হঠাৎ তুমি ডাকলে কাছে
বললে মৃদু হেসে
ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছিলে
ফিরলে অবশেষে !


বললে তুমি দাও গো আমায়
শেষ পারানির কড়ি
তা না হলে বলো আমি
কেমন করে মরি ?


চোখ ভাসছে জলে আমার
মুখে মিথ্যে হাসি
কানে কানে বলে এলাম
তোমায় আজও ভালবাসি ...